∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
পরপারে রবীন্দ্রনাথ
পর্ব -৬ (অন্তিম পর্ব)
(২২ শে শ্রাবণ স্মরণে রবীন্দ্রনাথকে নিবেদিত সংকলন)
****************!!!!!!!!!!!!****************
Doinik Sabder Methopath
Vol -103. Dt -18.8.2020
১ লা ভাদ্র, ১৪২৭. মঙ্গলবার
@@@@@@@#####@@@@@@#####
রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু ভাবনা
অধ্যাপক রণজিৎ কুমার নায়েক
উপনিষদের পরম্পরায় রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুকে পূর্ণস্বরূপের অঙ্গ হিসেবে দেখেছেন। মৃত্যুকে তিনি বিচ্ছেদ রূপে দেখেননি। পূর্ণতার মধ্যেই এক ভিন্নরূপে দেখেছেন। গানে লিখেছেন -
" আছে দুঃখ আছে মৃত্যু বিরহদহন লাগে
তবুও শান্তি তবু আনন্দ তবু অনন্ত জাগে।"
মৃত্যু ও জীবনকে এক পারম্পর্য ধারার অংশ হিসেবে দেখেছেন। উপমায় বলেছেন -
যেমন তরঙ্গ মিলায়ে যায় তরঙ্গ উঠে
কুসুম ঝরিয়া পড়ে কুসুম ফুটে ।"
সেই বহমান ধারায়-
" নাহি ক্ষয় নাহি নাহি নাহি দৈন্য লেস
সেই পূর্ণতার পায়ে মন স্থান মাগে।"
একইভাবে গানে লিখেছেন -
" হে পূর্ণ তব চরণের কাছে যাহা-কিছু সব আছে আছে আছে -
নাই নাই ভয়, সে শুধু আমারই নিশিদিন কাঁদি তাই
অন্তর গ্লানি সংসার ভার পলক ফেলিতে কোথা একাকার
জীবনের মাঝে স্বরূপ তোমার রাখিবারে যদি পাই।"
জীবনের মধ্যে পূর্ণ স্বরূপকে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে খণ্ড ক্ষুদ্র কে পেরিয়ে নিত্য অমৃতত্বে পৌঁছানো যায়। ভাবনাটি পুষ্ঠ হয়েছে উপনিষদের মন্ত্র -
" ঁও পূর্ণমদ: পূর্ণমিদং পূর্ণ্যাত পূর্ণ মুদচতে
পূর্ণ স্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে। "
থেকে কিছু হারিয়ে গেলেও পূর্ণতায় কোন কিছুই অভাব ঘটে না । রবীন্দ্রনাথ এটি খুব ভাল অনুভব করেছিলেন পুত্র শমীর মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই। কন্যা মীরা দেবীকে ২৫ বছর পরে এক পত্রে লিখেছিলেন -
" শমী যে রাত্রে গেল তারপরের রাত্রে রেলে আসতে আসতে দেখলুম জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে, কোথাও কিছু কম পড়েছে তার লক্ষণ নেই । মন বললে কম পড়ে নি- সমস্তর মধ্যে সবই রয়ে গেছে । আমিও তারই মধ্যেই।"
সীমাবদ্ধ আমি কে এক অসীম পূর্ণস্বরূপের সঙ্গে যোগ করে অ্মৃতত্বের সন্ধান পেয়েছেন কবি। মৃত্যুর সীমাবদ্ধতা পূর্ণতার গৌরবে ভরে উঠেছে। গীতাঞ্জলির ১১৬ সংখ্যক কবিতায় লিখেছেন-
" ওগো আমার জীবনের
শেষ পরিপূর্ণতা
মরণ আমার মরণ তুমি
কও আমারে কথা।"
চির আনন্দময়ের সঙ্গে মিলনের ছবি এঁকেছেন কবি -
" বরণমালা গাথা আছে
আমার চিত্তমাঝে
কবে নীরব হাস্যমুখে
আসবে ঘরের সাজে
সেদিন আমার রবে না ঘর
কেউ বা আপন কেই বা অপর
বিজন রাতে পতির সাথে
মিলবে পতিব্রতা।
মরণ আমার মরণ তুমি
কও আমারে কথা।"
মৃত্যুকে কবি পরম দায়িতের মতো বরণ করে নিয়েছেন -
" মরণ রে
তুঁহু মম শ্যাম সমান
..... তুঁহুঁ মম মাধব , তুঁহুঁ মম দোসর
তুঁহুঁ মম তাপ ও ঘুচাও
মরণ তু আও রে আও।"
শেক্সপীয়ারের " অ্যান্টনি এন্ড ক্লিওপেট্রা" নাটকে ক্লিওপেট্টা তার অন্তিম সময়ে মৃত্যুকে দয়িতের মতো বরণ করে নিয়েছেন -
" The stroke of death is as a lover's Prince
which hearts and is desired "
রবীন্দ্রনাথের তার শান্তিনিকেতন গ্রন্থের 'প্রাচীন ভারতের এক' প্রবন্ধে লিখেছেন -
" মৃত্যু এই জগতের সহিত, বিচিত্রের সহিত, অনেকের সহিত আমাদের সম্বন্ধের পরিবর্তন
ঘটাইতে পারে না । অতএব যে সাধক সমস্ত
অন্ত:করনের সহিত সেই এককে আশ্রয় করিয়াছেন, তিনি অমৃতকে বরণ করিয়াছেন ; তাহার কোনো ক্ষতির ভয় নাই, বিচ্ছেদের আশঙ্কা নাই। তিনি জানেন, জীবনের সুখ-দুঃখ নিয়ত চঞ্চল , কিন্তু তাহার মধ্যে সেই কল্যাণরুপী এক স্তব্ধ হইয়া রহিয়াছে , লাভ-ক্ষতি নিত্য আসিতেছে যাইতেছে, কিন্তু সেই এক পরমলাভ আত্মার মধ্যে স্তব্ধ হইয়া বিরাজ করিতেছে । বিপদসম্পদ মুহূর্তে মুহূর্তে আবর্তিত হয়েছে , কিন্তু -
সেই এক রহিয়াছে- যিনি জীবের
পরমা গতি। যিনি জীবের সম্মত , যিনি জীবের পরম লোক, যিনি জীবের পরম আনন্দ।
আমাদের প্রকৃত ঘর হল সেই আনন্দলোক বা অমৃতলোক । এই পৃথিবীর জীবন আমাদের প্রবাস জীবন। তিনি গানে লিখেছেন -
' এ পরবাসে রবে কে হায় আনন্দ' ।
আনন্দ থেকেই তো আমরা এসেছি । আনন্দে আছি এবং আনন্দেই প্রত্যাবর্তন করেছি -
কবি টেনিসন তার ক্রসিং দ্য বা র কবিতায় মৃত্যুতে আমাদের ঘরে ফেরার কথাই বলেছেন
" That which drew from out the boundless Deep
Turns again home "
মৃত্যু হল আমাদের স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন ।রবীন্দ্রনাথ গানে লিখেছেন -
" মৃত্যু যদি কাছে আনে তোমার অমৃতময় লোক
তবে তাই হোক".
দেহের আবরণ ক্ষয় হয়ে আনন্দে মিশে যাওয়া ।তার গানের ভাষায় _
"এ আবরণ ক্ষয় হবে গো ক্ষয় হবে
এ দেহমন ভূমানন্দময় হবে।"
রবীন্দ্রনাথের জীবন মৃত্যু ভাবনা ব্যক্তি 'আমি' কে সকল আমি' র সঙ্গে যুক্ত করে নেবার চিন্তা লক্ষণীয় । মানবীয় পূর্ণতার আদর্শের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মানবের অমরতা। বিশ্বমানবের ধারার সঙ্গে যুক্ত করতে চেয়েছেন নিজেকে। মানবতাবোধক অবলম্বন করে তার মধ্যে এক অমরত্ব বোধের গড়ে ওঠার রূপ প্রকাশিত জীবনে প্রাথমিক পর্যায়ে-' কড়ি ও কোমল' কাব্যের 'প্রাণ ' কবিতা লিখেছিলেন -
' মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই .....
মানবের সুখ-দুঃখে গাঁথিয়া সংগীত
যদি গো রচিতে পারি অমর আলয়।"
নিজের সকল সৃষ্টি নিয়ে মানব ধারাকে বিকশিত করে মৃত্যুঞ্জয় হয়ে মহামানবের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন । 'আরোগ্য 'কাব্যগ্রন্থ লিখেছেন -
" সর্ব মানুষের মাঝে
এক চির মানবের আনন্দ কিরণ
চিত্তে মোর হোক বিস্তারিত ।"
ব্যক্তি' আমি' থেকে সর্বজন' আমি' বিবর্তন ধারায় মৃত্যু কোন ছেদ আনে না - জীবন ও মৃত্যু উভয় ই আমি'র অনন্ত বিবর্তন ধারায় এগিয়ে চল বার পদক্ষেপ মাত্র. চলতে গেলে পা ফেলতে হয় , আবার পা তুলতে হয়। এই পা ফেলে হল জীবন আর পা তোলা হলো মৃত্যু। মৃত্যুর ভিতর দিয়ে যাওয়া ছাড়া নতুন অধ্যায়ে অগ্রসর হওয়া যায়না আর নতুন নতুন অধ্যায়ের না আসলে আমি সকল আমি হয়ে ওঠা সম্ভব নয় । আমি র এই নিত্য বিবর্তনে জন্ম-মৃত্যু অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। যুগ যুগান্তরে কত জন্ম কত মৃত্যু পেরিয়ে চির মানবের পথের পথিক হয়ে কবি এগিয়েছেন অমরত্বের পথে। পরিশেষ' কাব্যগ্রন্থের আমি কবিতাটিও এই শাশ্বত মানবতার পথের যাত্রার প্রসঙ্গে লিখেছেন :
দিনান্তে বাদল বায়ুবেগে
নীল মেঘে
বর্ষা আসে নাবি।
বসে বসে ভাবি
এই আমি যুগ-যুগান্তরে
কত মূর্তি ধরে
কত নামে কত জন্ম কত মৃত্যু করে পারাপার
কত বারম্বার।
ভূত-ভবিষ্যৎ লয়ে যে বিরাট অখন্ড বিরাজে
সে মানব মাঝে
নিভৃতে দেখিব আজি এ আমি রে
সর্বত্রগামী রে।"
এই কবিতাটি কবি লিখেছেন -
" সে আমিতো বন্দি নহে আমার সীমায়"
আরোগ্য" এর ৩২ সংখ্যক পদে কবি জানালেন -
" পরম আমির সাথে যুক্ত হতে পারি
বিচিত্র জগতে
প্রবেশ লভিতে করতে পারি আনন্দের পথে ।'
নিত্যকালের মানবতার বোধ ই রবীন্দ্রনাথের চিত্তে এক গভীর আধ্যাত্মবোধের জন্ম দিয়েছিল। সকল জন্ম-মৃত্যুর অতীত শাশ্বত বিশ্ব বোধের ব্যাপ্তিতে উত্তরিত করেছিল অমরত্ব এর অসীমতায় যুক্ত করেছিল। তাই গানে লিখে গেছেন -
" বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো
সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও
.……… সবার প্রাণে যেথায় বাহু প্রসারও
এইখানেতেই প্রেম জাগিবে আমারও।"
কৈশোরে মাত্র ১৪ বছর বয়সে মা সারদা দেবীকে হারাবার পর বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত অনেক মৃত্যুর আঘাত নেমে এসেছিল কবির জীবনে। প্রায় বৌঠান কাদম্বরী দেবী, তৃতীয় ভ্রাতা হেমেন্দ্রনাথ , ভ্রাতুষ্পুত্র বলেন্দ্রনাথ, স্ত্রী মৃণালিনী দেবী, দ্বিতীয় কন্যা রেনুকা, পিতা দেবেন্দ্রনাথ, কনিষ্ঠপুত্র শমীন্দ্রনাথ, বড় মেয়ে মাধবীলতা, মীরাদেবী পুত্র
নীতীন্দ্রনাথ প্রমুখের পরপর মৃত্যুর আঘাত যেন নিরবচ্ছিন্ন শোক প্রবাহের রূপ ধরে বয়ে গিয়েছিল কবির জীবনে । তার প্রিয় শিষ্য সৈয়দ মুজতবা আলী গুরুদেব শান্তিনিকেতন বইতে লিখেছেন :
" আমার দৃঢ় বিশ্বাস অন্য যে কোন সাধারণ জন এরকম আঘাতের পর আঘাত পেলে কিছুতেই আর সুস্থ জীবন যাপন করতে পারতেন না । অথচ রবীন্দ্রনাথকে দেখলে বোঝা যেতো নাও, কতখানি শোকে তিনি বুকের ভেতর বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন ।" দুঃখ দহনের মধ্য দিয়েই কবির পূর্ণতা প্রাপ্তির অনুভব। বিশ্বজনের মধ্যে পরম আমি র অনুসন্ধান। ৭৫ বছর বয়সে কবি তাই গানে লিখেছেন -
" দুঃখের তিমিরে যদি জ্বলে মঙ্গল -আলোক
তবে তাই হোক.
মৃত্যু যদি কাছে আনে তোমার অমৃতময় লোক তবে তাই হোক।"
-_-------------------------
শ্রাবণধারা হয় না সারা
ড. বিষ্ণুপদ জানা
" যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে
আমি বাইব না আমি বাইব না
মোর খেয়াতরী এই ঘাটে গো..."
প্রবহমান ইহলৌকিক জীবন উপলব্ধির অনিন্দ্য সুন্দর অনুভূতি নিয়ে যে গান রচিত হয়েছিল একদা, এক চরম বিষাদের সুরে , পরম বিচ্ছেদের বেদনায় - সেই গান যেন আজ হৃদয়ে বাজে । নতুন করে বাজে .......
" আমার পরানো যাহা চায়
তুমি তাই, তুমি তাই গো ......".
মায়াময় সংসারের খানা -খন্দে, নদী - নালায় , ডোবা -জলাশয়ে কত ফুল ফুটে উঠে আবার ঝরে যায়। তারাই রয়ে যায়, যাদের সুবাসে ও সৌরভে নিজস্বতা আছে, মৌলিকতা আছে, ভ্রমরের গুঞ্জন আছে, নিজস্ব ভাষা ও হৃদয় উজাড় করে দেওয়ার বাসনা অন্তর্হিত আছে । মৌলিক ভাবনার আদান-প্রদানে বৃষ্টির ভাষায় , যা র সুষমা সৌন্দর্য বিশ্ব আলোকে আলোকিত - খনিকের অতিথি নয়, চির শাশ্বত রূপ নিয়ে অনিন্দ্যসুন্দর শাশ্বত অমরত্ব প্রাপ্ত হয়।
" We live in a deed not in a year " সময়ের স্রোতে আপন কীর্তি যশ মহানকর্মকে যিনি রেখে যেতে পেরেছেন জাতির উদ্দেশ্যে জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি তো অক্ষয় বট। " মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ" এই মন্ত্র উচ্চারণ এর মধ্য দিয়ে। যিনি নির্দ্বিধায় ঘোষণা করেছিলেন -
"এই বলে খ্যাত হোক , আমি তোমাদেরই লোক।"
তিনি ভাবলোকে সীমার মাঝে অসীমের, রূপের মাঝে অরূপের, আজীবন সত্যসন্ধানী এক রূপদক্ষ কবি রবীন্দ্রনাথ ।
জীবনভর মনের মাধুরী মিশিয়ে, যা কিছু সৃষ্টি করেছিলেন , গোপনে -সংগোপনে, ব্যক্তিত্বে - বৃহৎ এ, আমি থেকে আমিত্বে - এক শ্রাবণের ধারায় সবকিছু গেল ধুয়ে - এ কথা, এ বিশ্বাস মানে না কেউ।
" আছে দুঃখ আছে মৃত্যু বিরহদহন লাগে
তবুও শান্তি তবু আনন্দ তবু অনন্ত জাগে ".
জীবন-মৃত্যুকে এক পারম্পর্য ধারার অংশ হিসেবে কবি দেখেছেন, খন্ডিত জীবনের আলোকে । খন্ড খন্ড আলোর সমাহারে আলোকময় রবীন্দ্রনাথ যেন বহু রবীন্দ্রনাথের মালা। এক আলোক বর্ষ । তিনি আবার অন্যত্র বহমান জীবনের ধারায় বলেছেন -
"নাহি ক্ষয় নাহি শেষ নাহি নাহি দৈন লেশ
সেই পূর্ণতার পায়ে মন স্থান মাগে। "
বারেক শ্রাবণ ধারা এসে স্মরণে আনে- সৃষ্টির রহস্যময় ইতিকথা , বিশ্ব লোককথা, বিশ্বমানবের হৃদয় ব্যথা, বিশ্বকবির হৃদয়জাত অনুভূতির অনন্ত আনন্দের কথা । আমাদের স্মরণে আসে। আমরা তাঁকে স্মরণ করি , রূপ - রস - গন্ধ - শরীর এ। আমরা উপলব্ধি করি , তিনি আছেন। তিনি ছিলেন। তিনি থাকবেন।
শ্রাবণের ধারার মতো তিনি বহমান। প্রবহমান ।১৩৪৮ এর বাইশে শ্রাবণে যে জীবনধারা অস্তমিত নির্বাপিত - ইহলৌকিক জীবনের মায়া - মোহ ত্যাগ করে - সেই ধারা শতসহস্র স্রোতধারায় - শত শত স্মৃতি হয়ে আজও প্রবাহিত নগরে- নগরে, প্রান্তরে-প্রান্তরে, মানুষের অন্তরে - অন্তরে নদী ফুল মাটি বৃষ্টির প্রকৃতির পরমা পরিবেশে। আমরা তাঁকে স্মরণ করে পরম পিতার কাছে প্রার্থনা করি -
" হে পরম পিতা , আমাদের ভক্তি ভজন তোমার মঙ্গল হইতে অবস্থিত হইতেছে। তিনি যখন রোগ-যন্ত্রণায় নিতান্ত কাতর হইলেন আমরা কিছুতেই তাহার শান্তি কামনা করিতে পারিলাম না। তুমি এখন আপনার অমৃতলোকে আশ্রয় দিয়া তাকে সকল যন্ত্রণা হইতে মুক্ত কর। হে মঙ্গলময়, আমাদের জীবন দাতা। তোমার প্রতিনিধি স্বরূপ আমরা যাকে ভালোবাসি, তিনি যেরূপ স্নেহে আমাদিগের প্রতিপালন করিয়াছে, তাহা পরিশোধ করা যায় না । তাকে রক্ষা করুন। পুনরায় জীবন দান করুন। বিশ্ববাসী , সেই আশায় অনন্ত পথ চেয়ে রইবে.......। "
প্রাণের গানে গানে- ধ্বনিত হবে
- " শ্রাবণের ধারার মতো ............'
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! সমাপ্ত
========///////===========///////=======
No comments:
Post a Comment