Tuesday, 18 August 2020

দৈনিক শব্দের মেঠোপথ

অ্ আ ই ঈ উ ঊ ঋ ৯ এ ঐ ও ঔ ক খ গ ঘ ঙ
                    কালি কলম মন
                    লেখে তিনজন
(বিশিষ্ট লেখক বা লেখিকাদের কলমের ইতিকথা )

০১২৩৪৫৬৭৮৯১০১১১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
            Doinik Sabder Methopath
            Vol - 104 . Date -19.8.2020
                  ২ ভাদ্র , ১৪২৭. বুধবার
 ABCDEFGHIJKLMNOPQRSTUVWXYZABC


                                      সঞ্জয় সোম
                                        কোচবিহার

01234567891011121314151617181920

                       যিনি লেখক ভাল কলমের প্রতি তাঁর আলাদা আকর্ষণ থাকা খুব স্বাভাবিক। পরিচিত নানা লেখকের তাই বিভিন্ন রকমের কলম-প্রীতি পরিলক্ষিত। আর মূলত টান ছিল ফাউন্টেন পেন বা ঝরণা কলমের প্রতি। কেউ আছেন, একটি কলম দিয়ে একটি উপন্যাসই লিখতেন। আবার এমনও অনেকে আছেন, যাঁদের কোনও বিশেষ কলমের প্রতি সে রকম কোনও আকর্ষণ নেই , যা পেতেন তাই দিয়েই লিখে চলেছেন।

                       (ছবি- পার্কার কলম)

কেউ কেউ লিখতেন টাইপ রাইটারে। কারও লেখার হাতিয়ার ছিল পেন্সিল। আবার কারও কলমের প্রতি আকর্ষণ না থাকলেও দামি কাগজের প্রতি প্রবল অনুরাগ ছিল। কেউ পুরনো কাগজে লিখে তাতে সুগন্ধী মাখিয়ে দিতেন।

 বিচিত্র এই লেখার জগত কেমন ছিলো - একবার দেখে নেওয়া যাক ।

              রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)

বিচিত্র লেখনীর মতো কালি কলমে কবির আকর্ষণ ছিল বেশি । প্রথাগত ফাউন্টেন কলম এর নামকরণ ঝরনা কলম তিনি করেছিলেন অনেকে মনে করেন। কালি কলম এর সঙ্গে যুতসই কালি না হলে লিখতে গিয়ে যে কত অসুবিধে হতো। বিশেষ করে  বিদেশি কোম্পানি পার্কারের Quink এবং শেফার্সের Skrip এর সঙ্গে পাল্লা দিতে হয়েছিল এদেশীয় সুলেখা কালি । ফাউন্টেন পেনের ভালো কালি বানানো সহজসাধ্য ছিল না। কালি যেন শুকিয়ে গিয়ে নিব দিয়ে কালি ঝরা বন্ধ না করে- কালির উপাদান নির্বাচনে সেটি ছিল মস্ত বড় বিষয়। তাছাড়া লেখা যেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিকে না হয়, সহজে উৎপাদন করা যায়– সবই ছিল বিবেচ্য বিষয়। রবীন্দ্রনাথের এই ঢালাও সুখ্যাতি সুলেখা কালিকে বাজারে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করেছিলো– সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। এছাড়া তিনি কাজল কালীর ব্যবহার করতেন। কাজল কালীর বিজ্ঞাপনে তিনি বলছেন,-১৯৩০ সালে ‘দেশ সাহিত্য সংখ্যা’ ‘কাজলকালী’র বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনের ভাষাটি ছিলো, "কাজলকালী ব্যবহার করে সন্তোষ লাভ করেছি, এর কালিমা বিদেশী কালীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়- ইতি ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০, শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।" 

                            ঝরনা কলম


 ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় ( ১৮৪৭-১৯১৯)

বাংলা সাহিত্যে হাস্যরসাত্মক গল্প লেখক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় কালি কলমে লিখতে ভালোবাসতেন। তার " ডমরু চরিত"" কুম্ভীর বিভ্রাট" উল্লেখযোগ্যতার রচনা। জীবনের পরিণতিতে কলমের নিব অসাবধানতায় বুকে বিঁধে যায়। শেষ পর্যন্ত তিনি মারা যান এই কলমের কারণে।


                            কালি কলম 

    বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০)

          সচরাচর ‘পাইলট’ কলম দোয়াতে ডুবিয়ে লিখতেন। সেটাই ছিল তাঁর প্রিয় কলম। ‘পথের পাঁচালি’ লেখা শুরু করেন ওভাবেই। তবে উপন্যাসটি শেষ করেন পরে কেনা এক ‘পার্কার’ কলমে। তাঁর ডায়েরি থেকে জানা যাচ্ছে, ‘পথের পাঁচালি’ শেষ করার পর তাঁর মনে হয়েছিল পরের দিকে ‘পার্কার’ কলম দিয়ে উপন্যাসটি লেখার জন্য ‘পাইলট’ কলমটি হয়ত কিছু মনে করেছে।
তখন তিনি তাঁর ডায়রির এই অংশটুকু লিখলেন সেই পুরনো ‘পাইলট’ কলমটি দিয়েই। আর সে লেখা শেষ করলেন এই ভাবে- ‘এই কথাগুলো লিখলুম আমার পুরনো কলমটা দিয়ে। যেটা দিয়ে বইখানা লেখার শুরু। শেষ দিকটাতে পার্কার ফাউন্টেন পেন কিনে নতুনের মোহে একে অনাদর করেছিলুম। ওর অভিমান আজ আর থাকতে দিলুম না।’ এই না হলে কলম-প্রীতি!

                               পাইলট কলম

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৮-১৯৭১)

মোটা নিবের শক্ত ও দামী কলম ছিল পছন্দের প্রথম তালিকায়। কারণ চাপ দিয়ে লেখার অভ্যেস ছিল বলে নিব ভোঁতা হয়ে যেত। আঙুলে কড়াও পড়ত। তবে পছন্দের কলম ছিল ‘শেফার্স’। একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল তারাশঙ্করের। তিনি একটি কলম দিয়ে একটি মাত্র উপন্যাসই লিখতেন। তার পরে সে কলম আর ব্যবহার না করে যত্ন করে তুলে রাখতেন।গণদেবতা' লিখেছিলেন ‘পার্কার’ কলম দিয়ে। ভোরবেলায় স্নান করে নিয়ম করে লিখতে বসতেন তিনি। নিজের লেখার টেবিলে প্রথমে সাদা কাগজে নীল রঙের সুলেখা কালি দিয়ে খুব ছোট ছোট অক্ষরে এক হাজার বার মা কালীর নাম লিখে তার পরে অন্য লেখার কাজ শুরু করতেন।

                          শেফার্স কলম

বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪)

প্রিয় কলম ‘শেফার্স’। তবে তাঁর সংগ্রহে ছিল ‘পার্কার’, ‘ওয়াটারম্যান’ ও ‘মঁব্লঁ’-র মতো ডাকসাইটে কলমও। কালির রঙ হিসেবে তাঁর প্রথম পছন্দ ছিল কালো। শিবনারায়ণ রায় অনেক বিভ্রাট করে একবার অস্ট্রেলিয়া থেকে তাঁকে দু’বোতল কালো কালি এনে দিয়েছিলেন। সে কালি তিনি কৃপণের মতো খরচ করতেন।

                  ওয়াটারম্যান কলম

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬)

টানাটানির সংসার ছিল তাঁর। লিখে আর কত টাকা পাওয়া যায়! তার ফলে কলম-বিলাস তাঁর ছিল না। একবার উপহার পান একটি ‘সোয়ান’ কলম এবং প্রেমে পড়ে যান সেই লেখনির। পরবর্তীকালে বিস্তর লেখালিখি করেছেন সেই কলম দিয়ে। লিখতেলিখতে এক সময় কলমের দফারফা। নিব, জিপ সব বেরিয়ে এসেছিল। সুতো দিয়ে বেঁধে সেই কলমেই লেখা চালাতেন তিনি। এমনই ভালবাসতেন সে কলমকে ।
                      সোয়ান কলম

নীহারঞ্জন গুপ্ত (১৯১১-১৯৮৬)

‘শেফার্স’ কলম দিয়ে সাহিত্য জীবন শুরু করেন। প্রথমবার যখন রবীন্দ্রনাথের মুখোমুখি হন তখন তিনি কবিকে অনুরোধ করেছিলেন সেই কলমটি দিয়ে কিছু লিখে দিতে। কবি লিখে দেন- ‘তুমি অনেক বড় হবে।’ সে কলম আজীবন সঙ্গে ছিল তাঁর। প্রখ্যাত গোয়েন্দা ঔপন্যাসিক আগাথা ক্রিস্টির সঙ্গে একবার ইংল্যান্ডে দেখা করেছিলেন নীহারঞ্জন। লেখিকা তাঁকে একটি কলম উপহার দেন। সেই কলমও আজীবনের সঙ্গী ছিল তাঁর। সে কলম দিয়ে বহু উপন্যাস লেখা হয়েছে। আরও একটি কলমও তাঁর আজীবনের সঙ্গী ছিল। তাঁর লেখা ‘মায়ামৃগ’ অবলম্বনে হওয়া নাটক যেদিন ৫০০ রজনী পার করে, সেদিন তাঁকে সোনার নিব বসানো একটি কলম উপহার দেওয়া হয়। সেও ছিল তাঁর অতি প্রিয় কলম।
                     ( ছবি- মঁ ব্লঁ কলম)

বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯২০-  ১৯৮৫)
বিশেষ কোন কলমের প্রতি আগ্রহ ছিল না। অভাব-অনটনের সংসার। কলমের মুখে আগুন ঝরছে, প্রেমের গান রচনা করেছেন- স্লোগানের কবিতা -প্রতিবাদের কবিতা- সময় সচেতন কবিতা কিংবা বিপ্লবের কবিতা - কলমে কালিতে।




  
কালি কলম


সত্যজিৎ রায় (১৯২১-১৯৯২)

সত্যজিৎ রায় ইংরেজি লেখার জন্য টাইপরাইটার ব্যবহার করতেন ঠিকই তবে বাংলায় একটি শব্দ লিখতে হলেও ঝরনা কলম হাতে তুলে নিতেন। তাঁকে কখনও ডট পেন ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তাঁর আর পছন্দ ছিল দামি সাদা ফুলস্কেপ কাগজ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রকমারি ফাউন্টেন পেনে টানা হাতে লিখে যেতেন তিনি। লাইনের ওপরে-নিচে যথেষ্ট ফাঁক থাকত। অক্ষর হত বেশ বড়। প্রতিটি অধ্যায়ের শুরুর বর্ণটি (ড্রপ লেটার) লিখতেন অন্য কালিতে- নীল, বেগুনি, সবুজ, খয়েরি। প্রত্যেকটি আলাদা। পাণ্ডুলিপিতে কাটাকুটি প্রায় থাকতই না। ফাঁকে ফাঁকে পরিমার্জনা করতেন লাল কালিতে।
                   ঝ র না ক ল ম

রমাপদ চৌধুরি (১৯২২-২০১৮)

প্রথম গল্প লেখেন জাপানি পাইলট কলম দিয়ে। ১০ বছর ধরে ওই কলম দিয়েই লিখেছেন। তার পর লিখতে শুরু করেন ‘শেফার্স’ দিয়ে। তখন থেকেই সেই কলমের প্রেমে পড়ে যান। একবার ট্রামে যাওয়ার সময় সে সাধের কলম পকেটমারি হয়ে গেলে তিনি এত কষ্ট পেয়েছিলেন যে ‘শেফার্স’ দিয়ে লেখা ছেড়ে দেন। পরবর্তীকালে আমেরিকা থেকে তাঁর জামাই তাঁকে একটি ‘শেফার্স’ পেন এনে দেন। তিনিও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই একটি কলম দিয়ে কখনও দুটো উপন্যাস লেখেননি। তাঁর মনে হত, একই কলমে লিখলে নতুন উপন্যাসে আগের উপন্যাসের প্রভাব চলে আসবে।


সমরেশ বসু (১৯২৪-১৯৮৮)

এক বন্ধুর কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া ‘শেফার্স’ কলমটির প্রতি তাঁর নিদারুণ মুগ্ধতা ছিল। ওই কলম থেকে বেরিয়ে এসেছে বহু উৎকৃষ্ট লেখা। তবে এর পাশাপাশি ‘পার্কার’ কলমও ছিল তাঁর পছন্দের। ফুলস্কেপ কাগজে চমৎকার হস্তাক্ষরে তিনি যখন পাতার পর লিখে যেতেন তখন তা ছিল দেখবার মতো। তাঁর লেখা প্রতি পাতার প্রায় ৪০টি লাইনে শব্দ সংখ্যা থাকতো আনুমানিক ৬০০-৬৫০। তবে তিনি বল পেনেও লিখতেন। ডান দিকে হেলে থাকা সারিবদ্ধ অক্ষরগুলোকে দেখে মনে হত যেন ধান বিছিয়ে রেখেছেন। কালো কালিতে লিখতেন, কখনও নীল কালিতেও। বেশ দামি কাগজে।

                     পার্কার কলম

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (১৯৩৫)

ডট পেন তাঁর দু’চক্ষের বিষ। স্কুল ফাইনাল পরীক্ষার সময় বাবা তাঁকে একটি ‘পার্কার জুনিয়র’ কলম কিনে দিয়েছিলেন। খুব যত্ন করে রেখেছিলেন সে কলম। পরবর্তীকালে সে কলম দিয়ে প্রচুর লেখা লেখেন। হঠাৎ একদিন হাত থেকে পড়ে সে কলমের নিব ভেঙে যায়। সারানোর পরও আগের ফ্লো আসেনি। কলমের খুব শখ থাকা সত্ত্বেও পয়সার অভাবে সেভাবে শখ মেটাতে পারেননি। তবে তাঁর সংগ্রহে মঁব্লঁ আছে। পছন্দের কালি ক্যামেলের কালো রঙা কালি। নীল রঙের কালি একেবারেই না-পসন্দ। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখার কোনও কোনও অক্ষর এক এক জায়গায় এতই সরু যে, বুঝতে সময় লাগে বিশেষ করে সেই সব শব্দ, যারা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের নিজস্ব সম্পদ।

                  (ছবি- মঁ ব্লঁ কলম)

রবিশংকর (১৯২০-২০১২)

তিনি সঙ্গীতের লোক তাই নিয়ম করে লেখার দরকার পড়ত না। তবে যখন লিখতেন তখন কলম হত কখনও ‘কারঁ দাশ’, কখনও ‘পার্কার ফিফটি ওয়ান’ অথবা ‘পার্কার ডুয়োফোল্ড’। লেখালেখির সময় কখনও অন্য কেউ কলম বাড়িয়ে দিলে উনি মিষ্টি হেসে বুকপকেটে থেকে নিজের কলমই বার করে নিতেন।

           ছবি- পার্কার ডুয়োফোল্ড কলম)

লেখক মাত্রেরই কলম নিয়ে অবসেশন ছিল এমন ভাবা ঠিক নয়। এমন কয়েকজন সাহিত্যিকের কথা জানাচ্ছি যাঁদের কলম নিয়ে কোনও মাথাব্যথা ছিল না।

আশাপূর্ণা দেবী

বিশেষ কোনও কলমের প্রতি আলাদা আকর্ষণ বোধ করতেন না করলেও তাঁর পছন্দের কালি ছিল ‘কুইঙ্ক’। যখন লিখতেন তখন বিছানা ছিল তাঁর প্রিয় স্থান। কারণ উপুড় হয়ে প্যাডে লিখতে ভালবাসতেন তিনি।


প্রতিভা বসু

লেখা হলেই হল। কলম নিয়ে তিনি মোটেও মাথা ঘামাতেন না। তাই হাতের কাছে যা পেতেন তাই দিয়েই একের পর এক লেখা লিখে যেতেন তিনি।


সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


পছন্দ করতেন দামি কাগজ, দামি কলম নয়। তাই ‘দেশ’ পত্রিকার দামি লেটারহেডে পাতার পর লিখে যেতেন এলেবেলে যে কোনও পেন দিয়ে। তাতে থাকতো ডট পেনও।



হুমায়ুন আহমেদ



হুমায়ুন আহমেদের কলম নিয়ে খুব বেশি আকর্ষণ ছিল না। তিনি লিখতেন অতি সাধারণ বল পয়েন্ট কলমে। যদিও প্রচুর দামি দামি কলম উপহার হিসেবে পেতেন।


সমরেশ মজুমদার 


ঝড়ের বেগে লিখে চলেছেন । পাণ্ডুলিপি দেখলেই তা বোঝা যেত - কত শত কালি কলম।  তবে পড়তে অসুবিধে হত না।


 বাণী বসু 

জীবনের এমন কোন শখ ছিল না, কলম সংগ্রহ করি। যখন যেমন পেয়েছেন- হাতের কাছে যা ছিল তাই নিয়ে লিখে চলেছেন। হাতের লেখার প্রতি যত্ন ছিল খুবই।


সুচিত্রা ভট্টাচার্য 

একান্ত লেখালেখিতে মগ্ন যে লেখিকা, কলমে কিবা আসে যায়। লেখনি হলেই হল । লেখার পরিপাটি বড় কথা। পাণ্ডুলিপি মেয়েলি ধরণের নয়।



শঙ্খ ঘোষ 

 পাণ্ডুলিপি পরিশীলতার উদাহরণ যেন যথার্থ শিল্প কর্ম । যে কবির সৃষ্টিকে ঘিরে - মানুষের মন ও মেজাজ ফুটে ওঠে কলমের কালিতে। যার কলমের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল না - আজ ও ।




জয় গোস্বামী
পাণ্ডুলিপিতে লেখায় পরিমার্জনা হয় প্রচুর। থাকে বিস্তর কাটাকুটি। এই খেলায় নিমগ্ন হলেও বিশেষ কোন কলমের প্রতি আকর্ষণ বা আগ্রহী তিনি নন। হাতের কাছে জাইপান তাই দিয়ে নিজস্ব ভূবন রচনা করেন।

কলমের ব্যবহার ও কলম প্রীতি নিয়ে সংগৃহীত কিছু তথ্য -

    তথ্যসূত্র -      আনন্দবাজার পত্রিকা।
            এবং ফাউন্টেন পেনের ইতিহাস।

অ আ ই ঈ উ ০ ১ ২ ৩ ৪ A B C D E 1 2 3 4 5




No comments:

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। অশোকবিজয় রাহা । একজন ভারতীয় বাঙালি কবি, প্রাবন্ধিক এবং সমালোচক। তিনি রবীন্দ্র অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন বিশ্বভারতীতে দায়িত্ব পালন করেন। Dt -14.11.2024. Vol -1052. Thrusday. The blogger post in literary e magazine.

অশোকবিজয় রাহা  (১৪ নভেম্বর ১৯১০ – ১৯ অক্টোবর ১৯৯০)  সময়টা ছিল আঠারোশো উননব্বইয়ের অক্টোবর। গঁগ্যার সাথে বন্ধুত্বে তখন কেবল চাপ চাপ শূন্যতা আ...