১৬১ তম রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে
বিশেষ সংখ্যা
আলোকচিত্রে ঠাকুরপরিবার :
১৭৮৪ সালে কলকাতার জোড়াসাঁকোয় ঠাকুরবাড়ি পত্তন করেন নীলমণি ঠাকুর।এই বংশর প্রথম উল্লেখযোগ্য কৃতি পুরুষ ছিলেন -
প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
(১৭৯৪ -১৮৪৬)
দিগম্বরী দেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধন ১৮০৯.. পরিবারের ৫ সন্তান। অন্যতম দেবেন্দ্রনাথ। ঠাকুরবাড়িতে বাংলা র্শিক্ষা- শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক জগতের প্রথম গোড়াপত্তন করেন তিনি.
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(১৮১৭-১৯০৫) ।
সারদা দেবীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ১৮৩৪. পরিবারের ৯ পুত্র ও ৬ কন্যা. শৈশবে ২ পুত্র ও ১ কন্যা মারা যান. পরিবারের সর্বাধিক কৃতিসন্তান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চতুর্থ সন্তান।
সরলা সুন্দরী দেবী।
(১৮২৬-১৮৭৫).
আদর্শ মহীয়সী নারী। পতিভক্তিপরায়ণা ও সংস্কারমুক্তমনা রবীন্দ্রনাথের জননী।
বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
ছোটবেলা থেকে মাতৃভাষাকে
জ্ঞান ও ভাবসম্পদ ঐশ্বর্যবান করবার জন্য
নিরন্তর আগ্রহী ছিলেন।
মেজদাদার সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বিদেশের মাটিতেে পড়াশোনা করে ঠাকুর বাড়ির ঐতিহ্য শ্রীবৃদ্ধি করেছিলেন।
বাড়ির পড়াশোনা দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তিনি কড়া শাসনকর্তা ছিলেন।
ন' দাদা বীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(১৮৪৫-১৯১৫)
প্রফুল্লময়ী দেবীর সঙ্গে বিবাহ। পুত্র বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
জ্যোতিদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(১৮৪৯-১৯২৫)
সাহিত্যের শিক্ষায় ভাবের চর্চায় বাল্যকাল থেকে তিনি যাকে প্রধান সহায় করেছিলেন।
আরেক দাদা সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(১৮৫৯-১৯২২).
অকৃতদার মানুষ ছিলেন। ঠাকুরবাড়ির পাগলামির মধ্যে এক পাগল ছিলেন।
দাদাদের সঙ্গে রবি ঠাকুর।
(১৮৬১-১৯৪১).
পত্নী মৃণালিনীদেবী
(১৮৭৪-১৯০২).
মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৮৮৩ সালে ৯ ডিসেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পত্নী মৃণালিনী দেবীর বয়স ছিল দশ বছরের কম। বিবাহ বাসরের আয়োজন হয়েছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে।
পিতার কোলে বড় মেয়ে মাধুরীলতা।
(১৮৮৬-১৯১৮)
নিজের মেয়ে সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন " তার মত সুন্দর দেখতে মেয়ে পৃথিবীতে খুব অল্প দেখা যায়।" অল্প বয়সে ক্ষয় রোগে মারা যান। মৃত্যুর পর তিনি শান্তিনিকেতনে' মাধুরীলতা বৃত্তি' প্রবর্তন করেন.
বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(১৮৮৮-১৯৬১)
একমাত্র রবীন্দ্রনাথের উত্তরসূরী। দীর্ঘদিন জীবিত ছিলেন এবং পিতার জীবিত অবস্থাতেও শান্তিনিকেতনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন পরবর্তীতে সমস্ত বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। প্রতিমা দেবী কে বিবাহ করলেও নিঃসন্তান ছিলেন। নন্দিনী নামে এক পালিত কন্যা তাদের ছিল।
(১৮৯১-১৯০৩)
ডাক নাম রানী। মা মৃণালিনী দেবীর মৃত্যুর পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অল্পদিন পরেই মারা যান।
ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(১৮৯৬-১৯০৭)
পিতার প্রায় সমস্ত গুণের অধিকারী এই ছেলে ছিলেন। কিন্তু অকালেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান মাত্র ১১ বছর বয়সে. অকাল মৃত্যুর শোকে বিহ্বল কবি লিখলেন -"অন্তর মম বিকশিত করো অন্তরতর হে.
কনিষ্ঠ কন্যা মীরাদেবী
(১৮৯৪-১৯৬৯)
নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন জীবিত ছিলেন তিনি। পুত্র নীতীন্দ্রনাথ ও কন্যা নন্দিতা।
বৌঠান কাদম্বরী দেবী
সম্পর্কে জ্যোতিদাদার স্ত্রী। নিঃসন্তান ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ যাকে জীবনের ধ্রুবতারা বলে মনে করতেন। যার প্রেরণায় সাহিত্য সংস্কৃতির জগতে নতুন দরজা খুলে গিয়েছিল তাঁর। নতুন বৌঠান এর আত্মহত্যা তাঁর জীবনে মৃত্যুকে প্রত্যক্ষ করিয়েছে।
ভাগ্নি সরলা দেবী
১৮৮৭ সালে ৭ মে ২৭ বছর বয়সে প্রথম রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন পালিত হয় এই ভাগ্নির উদ্যোগে।
ভাগ্নেয় জ্যোতি:প্রকাশ
বালক রবির বয়স যখন সাত/আট বছর হবে তখন এই ভাগ্নে বয়সে একটু বড়, দুপুরবেলা তার ঘরে ডেকে পদ্য লেখা প্রথম শিখিয়েছিলেন -পয়ার ছন্দে ১৪ অক্ষর সহযোগ. জীবনের প্রথম পদ্য লেখা যার হাত ধরে শেখা।
এছাড়া ঠাকুরবাড়ির আরো অনেকেই রয়ে গেলেন আলোকচিত্রের বাইরে। সংগ্রহযোগ্য অনেকের ছবি এখনো মেলে আবার কারোর দুষ্প্রাপ্য বটে। বিশেষ করে ঠাকুরবাড়ির মেয়েরা -
প্রথম কন্যা শৈশবেই মৃত্যু। নাম অজ্ঞাত।
এরপর সৌদামিনী, সুকুমারী ,শরৎকুমারী ,স্বর্ণকুমারী ও বর্ণকুমারী।
আগামীতে আলোকচিত্র সংগৃহীত হয়ে সংযুক্ত হবে , এমন প্রত্যাশা অমূলক নয়।
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
দৈনিক শব্দের মেঠোপথ
Doinik Sabder Methopath
Vol -367.Dt -09.05.2021
২৫ বৈশাখ,১৪২৮. রবিবার
=================================
No comments:
Post a Comment