Sunday, 27 March 2022
জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রগতিশীল লেখক সত্যেন সেন। ২৮.০৩.২০২২. Vol - 686. The blogger in literature e-magazine
জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি। কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত। ২৭.০৩.২০২২. Vol -685.. The blogger in literature e-magazine
মল্লিকা সেনগুপ্ত
১৯৬০ খ্রি. ২৭ মার্চ ভারতের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর কবি-জীবন শুরু ১৯৮১ খ্রি. এবং সেই থেকে তিনি ১১টি কবিতার বই, দুটি উপন্যাস এবং বিভিন্ন প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত মহারাণী কাশীশ্বরী কলেজের সমাজবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ৯০ এর দশকে তিনি অপর্ণা সেন সম্পাদিত 'সানন্দা' পত্রিকার কবিতা বিভাগের সম্পাদনা করতেন। স্বামী সুবোধ সরকারের সাথে তিনি 'ভাষানগর' নামক একটি সাংস্কৃতিক পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
মল্লিকার কবিতা আপষহীন রাজনৈতিক ও নারীবাদী হিসেবে পরিচিত। তার লেখনির গুণে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তার লেখা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
ইতিহাসের ব্রাত্য নারী চরিত্ররা প্রায়ই তার লেখায় পুনর্জীবিত হয়েছেন। সমসাময়িক কবি সংযুক্তা দাসগুপ্তের ভাষায় "তার কবিতায় নারীস্বত্বা কেবলমাত্র অন্তর্ভূতি সচেতনতা হিসেবেই থেকে যায় না, সেটা প্রস্ফুটিত হয় সমস্ত প্রান্তিক নারীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক স্বতস্ফুর্ত প্রতিবাদ।"
Thursday, 24 March 2022
জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য। উইলিয়াম মরিস। ২৪.০৩.২০২২. Vol -683. The blogger in literature e-magazine
Tuesday, 22 March 2022
জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি। চারুচন্দ্র চক্রবর্তী (জরাসন্ধ) ২৩.০৩.২০২২. Vol -683 The blogger in literature e-magazine
জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য। যোগেন্দ্র নাথ গুপ্ত। ২২.০৩.২০২২. Vol -683. The blogger in literature e-magazine
বিশ্বের ইতিহাস ২১ খণ্ডে রচনা করেন।
যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত
জন্ম: ২২ মার্চ ১৮৮৩ . একজন সাহিত্যিক এবং গবেষক। শিশুভারতী নামের বিখ্যাত কোষগ্রন্থের সম্পাদনা তার উল্লেখযোগ্য কীর্তি।
তিনি কৈশোরক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
তার রচিত বাংলার ডাকাত বইখানি উল্লেখযোগ্য। ইতিহাস ও সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগে তার গবেষণামূলক অবদান স্মরণীয়।
তিনি বাংলাদেশের ঢাকার মূলচরের নিবাসী ছিলেন। তার পিতার নাম মহেন্দ্র চন্দ্র গুপ্ত। পিতার অনুপ্রেরনায়ই তিনি ইতিহাস রচনায় হাত দেন। যোগেন্দ্রনাথের বিক্রমপুরের ইতিহাস প্রথম প্রকাশিত হয়। ৩০ আশ্বিন ১৩১৬ বাংলা অর্থাৎ অক্টোবর ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ ঠিক ত্রিশ বছর পর ১৭ অক্টোবর ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ঢাকা ও কলকাতা মিলে বিক্রমপুরের ইতিহাস কমপক্ষে পাঁচটি সংস্করণ হয়েছে। যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত শিশু ভারতী নামক কোষগ্রন্থ রচনা করে সমগ্র ভারতে অসামান্য কৃতিত্ব দেখান। মাতা মোক্ষদাসুন্দরী।ঢাকার বিক্রমপুরে মূলচর গ্রামে তাঁর জন্ম। ছাত্রবৃত্তি পাস করে দারিদ্রে্যর কারণে তিনি প্রথমে স্কুলে শিক্ষকতা করেন এবং পরে ময়মনসিংহের জমিদারিতে চাকরি নেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি মাসিক পথিক (১৯০৪), ত্রৈমাসিক বিক্রমপুর (১৯০৬-১৮) ও কৈশোরক (১৯১৩-১৮) এবং মাসিক কিশোর ভারতী পত্রিকা সম্পাদনা করেন এবং এর মাধ্যমেই তাঁর লেখকজীবন শুরু হয়। ইতিহাস, জীবনী, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও কোষগ্রন্থ মিলে তাঁর গ্রন্থসংখ্যা শতাধিক। তাঁর ইতিহাস গ্রন্থ বিক্রমপুরের ইতিহাস (১৯০৯), পৃথিবীর ইতিহাস (২১ খন্ড, ১৯১৮-২৫), বিক্রমপুরের বিবরণ (২ খন্ড, ১৯৩৯), বাঙ্গালার ইতিহাস, ভারতের ইতিহাস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বিক্রমপুরের বিবরণ গ্রন্থখানি এখনও বিক্রমপুর সম্পর্কে একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত।
যোগেন্দ্রনাথ দেশি-বিদেশি অনেক জ্ঞানী-গুণীর জীবনী রচনা করেছেন। কেদার রায়, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্যাসাগর, গান্ধীজীর জীবনযজ্ঞ, সাধক কবি রামপ্রসাদ, কান্তকবি রজনীকান্ত, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ, তারাবাঈ, ঝাঁসীর রাণী, রাণী দুর্গাবতী, রণজিৎ সিংহ, গুরুগোবিন্দ সিংহ, ম্যাজিনি, আব্রাহাম লিঙ্কন ও গ্যারিবল্ডী তাঁর রচিত কয়েকটি বিখ্যাত জীবনীগ্রন্থ।
যোগেন্দ্রনাথ অল্পবয়সেই সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১০০টিরও বেশি বই লেখেন। ইতিহাস ও সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগে তার গবেষণামূলক অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি বিশ্বের ইতিহাস ২১ খণ্ডে রচনা করেছিলেন। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল -
- বাংলার ডাকাত
- বিক্রমপুরের ইতিহাস
- কেদার রায়
- ধ্রুব
- প্রহ্লাদ
- ভীমসেন
- বঙ্গের মহিলা কবি
- কল্পকথা (ছোটগল্প)
- তসবীর (নাটক)
- হিমালয় অভিযান
- কবিতা মঞ্জরী
- সাহিত্যিক
Sunday, 20 March 2022
জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য। শ্রীশচন্দ্র বসু। ২১.০৩.২০২২. Vol -681. The blogger in literature e-magazine
শ্রীশচন্দ্র বসু
পিতার কর্মক্ষেত্র পাঞ্জাবের লাহোরে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ২১ শে মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন । তবে পৈতৃক নিবাস ছিল বৃটিশ ভারতের বর্তমানে বাংলাদেশের খুলনা জেলার টেংরা-ভবানীপুরে। পিতা শ্যামাচরণ পাঞ্জাবের শিক্ষা-অধিকর্তার প্রধান কর্মচারীরূপে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে প্রভূত সাহায্য করেন। কিন্তু বাল্য বয়সেই তার পিতৃবিয়োগ ঘটলে মাতা ভুবনেশ্বরী দেবীর যত্নে পড়াশোনা করেন। লাহোর পাঠরত অবস্থায় ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেন । ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে লাহোরের সরকারি কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন । ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে সেখান থেকে শিক্ষক-শিক্ষন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষকতা বৃত্তি নেন।
কর্মজীবন শুরু করেন লাহোরে মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে । এখানে কর্মরত অবস্থাতেই উর্দু ভাষায় প্রাকৃতিক ভূগোল বিষয়ে একখানি পাঠ্যপুস্তক লেখেন। সাথে সাথেই Student's Friend নামে ইংরাজী পত্রের পরিচালনা ও সম্পাদনা করেন। কলকাতার 'ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন' এর অনুকরণে ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবে 'ইণ্ডিয়ান ন্যাশনাল সোসাইটি' গঠনে উদ্যোগ নেন। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে এলাহাবাদ হাইকোর্ট পরিচালিত আইন পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে এলাহাবাদে আইন ব্যবসায় নিযুক্ত হন এবং দক্ষ আইনজীবী হিসাবে প্রতিষ্ঠালাভ করেন। নিজে ইতিমধ্যে পিটম্যান প্রবর্তিত আশুলিখন অর্থাৎ শর্টহ্যান্ড শিখে নিয়ে বিচারপতিদের রায় আশুলিখনের ভার গ্রহণ করেন । পরবর্তীতে তিনি সরকারি বিচার বিভাগে যোগ দেন । ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি এলাহাবাদে (বর্তমানে প্রয়াগরাজের) প্রথম দেশীয়দের দ্বারা পরিচালিত বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। শ্রীশচন্দ্র বহু ভাষাবিদ ছিলেন। হিন্দু আইন উত্তমরূপে আয়ত্ত করতে সংস্কৃত শেখেন। তেমনই বাইবেলের মর্মার্থ আয়ত্তের জন্য শেখেন হিব্রু ও গ্রীক ভাষা। ইসলাম ধর্মের জন্য শেখেন আরবি ও ফারসি। এছাড়াও ল্যাটিন ফরাসি ও জার্মান ভাষাতে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন । ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি 'পাণিনীয় অষ্টাধ্যায়ী' র ইংরাজীতে অনুবাদ করে সুপরিচিত হন। তার অনূদিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল -
ভট্টোজী দীক্ষিত প্রণীত ব্যাকরণ গ্রন্থ- 'সিদ্ধান্ত কৌমুদী'
'শিবসংহিতা'
শাঙ্কর-ভাষ্য-সহ 'ঈশোপনিষদ'
মাধ্বাচার্যকৃত ভাষ্য-সহ 'ছান্দোগ্য উপনিষদ'
বলদেব বিদ্যাভূষণকৃত ভাষ্য- সহ 'বেদান্তসূত্র'
বিজ্ঞানেশ্বররচিত 'মিতাক্ষরা ভাষ্য'
বলমভট্ট-রচিত টীকা-সহ 'যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতি'
দারা শিকোহ্ রের ' ইবন শাজাহান' ( ফরাসি ভাষায়)
এছাড়া যাবতীয় হিন্দুধর্মশাস্ত্রের সার সংকলন করে প্রশ্নোত্তরে ইংরাজীতে একটি গ্রন্থ, হিন্দি ভাষায় একটি বর্ণপরিচয় ও আশুলিখন প্রণালী বিষয়ে পুস্তক রচনা করেন । তিনি ' 'সেখ চিল্লী' ছদ্মনামে উত্তর ভারতে প্রচলিত কিছু উপকথা সংগ্রহ করে ইংরাজীতে 'Folk-tales ofHindusthan' লিপিবদ্ধ করেন। 'হিন্দুস্থানী উপকথা' নামে পরে সীতা দেবী ও শান্তা দেবী বাংলায় অনুবাদ করেন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে এলাহাবাদের (বর্তমানে প্রয়াগরাজের) বাহাদুরগঞ্জে মাতার নামাঙ্কিত ভুবনেশ্বরী আশ্রমের নিজের বাড়িতে প্রাচীন হিন্দুশাস্ত্র প্রচারের উদ্দেশ্যে'পাণিনি কার্যালয়' স্থাপন করেন । এখান থেকেই দুর্লভ বা অপ্রকাশিত হিন্দুশাস্ত্রের গ্রন্থ সমূহ 'সেক্রেড বুকস্ অব দি হিন্ডুজ' নামক সিরিজের প্রকাশের ব্যবস্থা হয়। পরবর্তীতে শ্রীশচন্দ্রের অনুজ বামনদাস সম্পাদনার ভার গ্রহণ করেন ।
১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বৃটিশ সরকার কর্তৃক 'রায়বাহাদুর' এবং বিদ্যাবত্তার জন্য কাশীর পণ্ডিতমণ্ডলী কর্তৃক 'বিদ্যার্ণব' উপাধি দ্বারা সম্মানিত হয়েছিলেন।
শ্রীশচন্দ্র বসু ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের ২৩ শে জুন ৫৭ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন ।
========{{{{{{∆∆∆∆∆∆∆∆}}}}}}========
Saturday, 19 March 2022
জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য। গুরুপ্রসাদ সেন। ২০.০৩.২০২২. Vol -680. The blogger in literature e-magazine
গুরুপ্রসাদ সেন
জন্ম ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দের ২০ শে মার্চ (৮ই চৈত্র, ১২৪৯ বঙ্গাব্দ) ময়মনসিংহ পরগনার ঢাকার ডোমসারে (বর্তমান শরীয়তপুর)। পিতা কাশীচন্দ্র সেন ও মাতা সারদাসুন্দরী দেবী। তার অতি অল্প বয়সে পিতৃবিয়োগ হলে মাতা সারদাসুন্দরী তাঁকে নিয়ে চলে আসেন তার ভ্রাতা রাধানাথ সেনের আশ্রয়ে বিক্রমপুরের কাঁচাদিয়া গ্রামে এবং সেখানে তিনি মাতুল কর্তৃক প্রতিপালিত হন। সেসময় বিক্রমপুরে ইংরাজী মাধ্যমের স্কুল না থাকায় তার মাতুলই ইংরাজী শেখাতেন। পরে ভর্তি হন ঢাকা পোপোজ স্কুলে। গুরুপ্রসাদ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সেখান থেকে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে বৃত্তিসমেত প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ঢাকা কলেজ থেকে ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে এফ.এ.পরীক্ষায় প্রথম হন।কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৮৬২ খ্রিষ্টাব্দে বি.এ. এবং ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ. পাশ করেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশের) প্রথম এম.এ.।
এম. এ পাশের পর প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে বি.এল পরীক্ষা পাশ করে ডেপুটি ম্যাজিসেট্রট পদে প্রথমে কৃষ্ণনগর ও পরে বাঁকিপুরে কাজ করতে থাকেন। কিন্তু সেখানে ইংরেজ ম্যাজিসেট্রটের সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় সরকারি পদ ত্যাগ করে বাঁকিপুরেই স্বাধীনভাবে ওকালতি শুরু করেন। এই বাঁকিপুর তার ত্রিশ বৎসর কর্মজীবনের মূল কর্মক্ষেত্র হয়েছিল এবং বহু জনহিতকর কাজে লিপ্ত ছিলেন। বিহারের প্রধান প্রধান জমিদারগণের আইনি-উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল, নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীলচাষিদের পক্ষ অবলম্বন করা এবং তাদের সংগ্রামে সামিল হওয়া। প্রকৃতপক্ষে তার চেষ্টায় বিহারের নীলচাষীরা ইংরেজ নীলকর সাহেবদের অত্যাচার মুক্ত হন।
১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিহারে প্রথম ইংরাজী সাপ্তাহিক পত্রিকা "বিহার হেরল্ড" প্রকাশ করেন.
এই পত্রিকার সাহায্যে তিনি জনসাধারণের সপক্ষে সংগ্রাম করে তাদের প্রকৃত বন্ধু হয়ে ওঠেন। দরিদ্র ছাত্রদের জন্য হোস্টেল এবং বাঁকিপুরে ও ঢাকায় দুটি স্কুল স্থাপন করেন। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে বিহার ল্যান্ড-হোল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা তার চেষ্টায় সম্ভব হয়েছিল এবং তিনি এর আজীবন সম্পাদক ছিলেন। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য হন এবং পরের বৎসর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো হন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সেকালের বিখ্যাত পত্রিকা ‘সোম প্রকাশ’ পত্রিকায় তিনি অনেক প্রবন্ধ লিখতেন। জুরির বিচারব্যবস্থা ওঠানোর চেষ্টা হলে তার রচিত ইংরাজী পুস্তিকা বিলাতে প্রশংসিত হয়েছিল। ইংরেজি ভাষায় তিনি কয়েকখানি পুস্তক রচনা করেছিলেন -
1)অ্যান ইনেট্রাডাকশন টু দ্য স্টাডি অফ হিন্দুইজম (১৮৯১) ( প্রবন্ধ সংকলন)
2)নোটস্ অন সাম কোয়শচেন অফ অ্যাডমিনিস্টেশন ইন ইন্ডিয়া (১৮৯৩)
বাঁকিপুরে অবস্থানকালে বিধানচন্দ্র রায়ের পিতা প্রকাশ চন্দ্র রায় ও মাতা অঘোরকামিনী দেবীর সাথে তার পরিচয় ছিল। তাঁদের মতো তিনিও এক সময় ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। পরে তার ধর্মবিশ্বাসে উদারপন্থী মনোভাব লক্ষিত হয়েছিল। বিধবাবিবাহের উৎসাহী সমর্থক ছিলেন তিনি। বিপথগামী মেয়েদের বিবাহ ও পুনর্বাসনের পক্ষে নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সূচনা থেকেই তার সমর্থক ছিলেন এবং বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন।
গুরুপ্রসাদ সেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে সেপ্টেম্বর ( ১৩০৭ বঙ্গাব্দের ২৮শে আশ্বিন) প্রয়াত হন।
========{{{{{∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆}}}}}======
শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় । বাংলা চলচ্চিত্র ও নাট্যজগতের খ্যাতনামা অভিনেতা।পরিচিতিকলকাতার কালীঘাট অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন তিনি। পিতা মনীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন আইনজীবী। প্রথমে কালী বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় গণনাট্য সংঘর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সিনেমা জগতে তিনি কালী ব্যানার্জী নামে সমধিক পরিচিত। dt -২০.১১.২০২৪. Vol -১০৫৬. Wednesday। The blogger post in literary e magazine.
কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় ( ২০ নভেম্বর, ১৯২০ — ৫ জুলাই, ১৯৯৩ ) বাংলা চলচ্চিত্র ও নাট্যজগতের খ্যাতনামা অভিনেতা। কলকাতার কালীঘাট অঞ্...
-
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তীতে দৈনিক শব্দের মেঠোপথ পত্রিকার উদ্যোগে পরিবারের সঙ্গে ৮ম মাসিক সাহিত্য বিকেলের আড্ডা ও বর্ণ...
-
মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৮ সালে বাংলাদেশের সিলেটে। তুলনামূলক সাহিত্য, ভারতীয় নন্দনতত্ত্ব, ললিতকলার ইতিহাস নিয়ে তিনি পড়াশোন...
-
‘ কী গাব আমি কী শোনাব" গানটির সুর এখনো কানে ভেসে আসে , শিল্পী বেঁচে নেই কিন্তু তার সৃষ্টি সভ্যতা ও সংস্কৃতির অলিতে গলিতে এখনো সুরেলা ...