প্রখ্যাত আইনজীবী ও আইনের অধ্যাপক ছিলেন। গদ্যলেখক হিসেবেও খ্যাতি ছিল তাঁর। গত শতাব্দীর তিরিশের দশকে বাংলা ও আসামের নদীতে স্টিমারে বেড়াবার সময় তিনি যেসব চিঠি লিখেছিলেন—পরবর্তীতে সে চিঠিগুলিই 'নদীপথে’ নামে ভ্রমণকাহিনী হিসেবে প্রকাশিত হয়। তবে প্রাপক বা প্রেরকের নাম না থাকায় তা ভ্রমণের দিনলিপি বলে মনে হয়।
১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ মার্চ টাঙ্গাইল জেলার বিল্লাইক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম উমেশচন্দ্র গুপ্ত। তিনি ছিলেন আইনজীবী। আইন ব্যবসার কারণে উমেশচন্দ্র সপরিবারে রংপুরে বসবাস শুরু করেন। এই কারণে অতুলচন্দ্রের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয় রংপুরে।
১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে অতুলচন্দ্র রংপুর জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাস করেন। এরপর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ভর্তি হন। এই কলেজ থেকে ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজি ও দর্শনশাস্ত্রে অনার্সসহ বি.এ পাশ করেন।
১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি 'কার্লাইল সার্কুলার-বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে এম.এ পাশ করেন। এবং ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে বি.এল ডিগ্রি লাভ করেন।
এরপর কিছুদিন তিনি রংপুর জাতীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। পরে রংপুরেই তিনি আইন ব্যবসা শুরু করেন১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করে।১৯১৮ খ্রিষ্টব্দে তিনি কলকাতা বিশববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে রোমান ল' ও জুরিসপ্রূডেন্সের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। এই বৎসরে তিনি 'Trading with the Enemy' নামক একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ রচনা করে, তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অনাথনাথ দেব পুরস্কার' লাভ করেন। ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে অধ্যাপনা ত্যাগ করে তিনি পুনরায় আইন ব্যবসায় ফিরে যান এবং ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইনজীবিরৃপে স্বীকৃতি লাভ করেন।
প্রথমবার কলকাতা থেকে বরিশালগামি স্টিমারে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে, খুলনা হয়ে, হুলারহাট ও কাউখালিতে থেমে ঝালকাটি পর্যন্ত ছিল তাঁর ভ্রমণ। পরের বার একই পথে গোয়ালন্দ পর্যন্ত। তার পরের বার গোয়ালন্দ পার হয়ে যমুনা নদী ধরে সিরাজগঞ্জ, জগন্নাথগঞ্জ ও চিলমারি হয়ে—তারপর আসামের গৌহাটি ছুঁয়ে তেজপুরে গিয়ে তাঁর ভ্রমণ শেষ হয়েছিল।
বইতে নদীপথের দু'পাশের প্রকৃতি ও লোকালয়ের চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। সরষে খেত, নারকেল-খেজুর-সুপারির বাগান, হাটবাজার, নদীর ঘাটে স্নান, সূর্যাস্ত—এমনকি নদীর পাড়ে ছাগলছানার লাফানোর দৃশ্যও বাদ যায়নি। আবার ভ্রমণের আসাম অংশে ব্রহ্মপুত্রের দু'পাড়ের বনজঙলে ঘেরা সবুজ পাহাড়ের কথাও বয়ান করেছেন।
লেখক নদীর বুকে চলা নানা রকম স্টিমার ও নৌকার বর্ণনা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, স্টিমারগুলোর কেতাবি নাম থাকলেও ডাকা হত ট্রেনের মত করে—ঢাকা মেল, বরিশাল এক্সপ্রেস, ইত্যাদি। আছে জাহাজের খালাসিদের রোজা রেখে ইফতার করার বিবরণও। ভ্রমণের সময় লেখক হরবোলা থেকে শুরু করে নানা পেশার, নানা রকম মানুষের দেখা পেয়েছেন—বলেছেন তাদের কথাও।
প্রথমবার কলকাতা থেকে বরিশালগামি স্টিমারে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে, খুলনা হয়ে, হুলারহাট ও কাউখালিতে থেমে ঝালকাটি পর্যন্ত ছিল তাঁর ভ্রমণ। পরের বার একই পথে গোয়ালন্দ পর্যন্ত। তার পরের বার গোয়ালন্দ পার হয়ে যমুনা নদী ধরে সিরাজগঞ্জ, জগন্নাথগঞ্জ ও চিলমারি হয়ে—তারপর আসামের গৌহাটি ছুঁয়ে তেজপুরে গিয়ে তাঁর ভ্রমণ শেষ হয়েছিল।
বইতে নদীপথের দু'পাশের প্রকৃতি ও লোকালয়ের চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। সরষে খেত, নারকেল-খেজুর-সুপারির বাগান, হাটবাজার, নদীর ঘাটে স্নান, সূর্যাস্ত—এমনকি নদীর পাড়ে ছাগলছানার লাফানোর দৃশ্যও বাদ যায়নি। আবার ভ্রমণের আসাম অংশে ব্রহ্মপুত্রের দু'পাড়ের বনজঙলে ঘেরা সবুজ পাহাড়ের কথাও বয়ান করেছেন।
লেখক নদীর বুকে চলা নানা রকম স্টিমার ও নৌকার বর্ণনা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, স্টিমারগুলোর কেতাবি নাম থাকলেও ডাকা হত ট্রেনের মত করে—ঢাকা মেল, বরিশাল এক্সপ্রেস, ইত্যাদি। আছে জাহাজের খালাসিদের রোজা রেখে ইফতার করার বিবরণও। ভ্রমণের সময় লেখক হরবোলা থেকে শুরু করে নানা পেশার, নানা রকম মানুষের দেখা পেয়েছেন—বলেছেন তাদের কথাও।
রচিত গ্রন্থ
কাব্যজিজ্ঞাসা
শিক্ষা ও সভ্যতা
নদী পথে(আষাঢ়,১৩৪৪)
জমির মালিক
সমাজ ও বিবাহ
ইতিহাসের মুক্তি
সম্মাননা
Trading with the Enemy শীর্ষক গবেষণামূলক প্রবন্ধের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অনাথনাথ দেব' পুরস্কার লাভ করেন (১৯১৮)।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি.এল. উপাধি লাভ করেন (১৯৫৭)।
মৃত্যু ১২ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১ কলকাতা.
No comments:
Post a Comment