রবি ঠাকুরের ‘যোগাযোগ’ উপন্যাসের কুমুর কথা মনে আছে? দাদা বিপ্রদাসের কাছে কত কিছু শিখেছিল সে। ঘোড়ায় চাপা, বন্দুক চালানো, এস্রাজ বাজানো, দাবা খেলা, ছবি তোলা। ভাই-বোন নয়, দুই ভাইয়ের মতো যেন তাদের বড় হয়ে ওঠা। এত করেও অবশ্য বিপ্রদাস কুমুর মনের সবটুকু পিছুটান, মেয়ে-হওয়ার অন্ধ-সংস্কার দূর করতে পারেনি। কাজটা কঠিন, তবে বিশ শতকে কোনও কোনও বাঙালিনি স্বাধীন ভাবনা ও কাজ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করছিলেন। উনিশ শতকে নারীদের অধিকার নিয়ে নানা আন্দোলন হয়েছিল বলেই বিশ শতকের মেয়েরা তুলনায় মুক্ত। আর এই মুক্তি ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের জীবনে সেই উনিশ শতক থেকেই ধরা দিয়েছিল নানা ভাবে। বঙ্গদেশের এই বাড়িটি সব দিক থেকেই অন্য রকম। কুমুর মতো পিছুটানের শিকার সেখানে সবাই হন না। যেমন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পৌত্র গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সৌদামিনী দেবীর কন্যা, সুনয়নী। রাজা রামমোহন রায়ের দৌহিত্র রজনীমোহন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে খুব অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার পরে জোড়াসাঁকোর পাঁচ নম্বর বাড়িতে শুরু হয়েছিল তাঁর সংসার। দীর্ঘ দিন ছিলেন এই বাড়িতেই। ফলে খুব কাছ থেকে দেখতে পেতেন নিজের দুই দাদা, অবনীন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথের ছবির জগৎ। শুধু কি আঁকা? গানে, লেখায়, অভিনয়ে তিনি যেন সরস্বতী।
সুনয়নী দেবী
(১৮ই জুন ১৮৭৫-২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬২)
একজন খ্যাতিমান ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী। সুনয়নী দেবী জন্ম গ্রহণ করেন কলকাতার জোড়াসাঁকো সম্ভ্রান্ত ঠাকুর পরিবারে। তিনি স্বশিক্ষিত শিল্পী, কোন প্রথাগত প্রশিক্ষণ তিনি নেননি কারো থেকেই। বরং, তাঁর শিল্পী ভাইদের যথা অবনীন্দ্রনাথ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ ও সমরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ছবি আঁকা শুরু করেন । ৩০বছর বয়সে তাঁর আঁকা কয়েকটি বিখ্যাত ছবি হলো 'মা যশোদা', 'নেপথ্যে', 'বাউল' । তাঁর বিবাহ হয় রাজা রামমোহন রায়ের নাতি রজনীমোহন চট্টোপাধ্যায়র সঙ্গে মাত্র ১২ বছর বয়সে।
জন্ম ১৮৭৫ সালের ১৮ই জুন। জোড়াসাঁকো সম্ভ্রান্ত ঠাকুর পরিবারের গগণেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সৌদামিনী দেবীর ঘরে । গগণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছিলেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের প্রপৌত্র এবং মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৃতীয় ভ্রাতা গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র। সে দিক থেকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পিতৃব্য ছিলেন। বারো বছর বয়সে রজনীমোহন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন। চিত্রশিল্প বা শিল্পের যে কোন আঙ্গিকেই তার কোন প্রথাগত শিক্ষা না থাকা সত্ত্বেও তিনি একজন নারী হিসেবে যে শিল্প ক্ষেত্রে তার কাজ সুসম্পাদিত করেন সে তথ্য পার্থ মিত্রের বই 'দ্য ট্রায়াম্ফ অফ মর্ডানিজম্ : ইন্ডিয়া'জ্ আর্টিস্ট অ্যান্ড দ্য অ্যাভান্ট্ গ্রেড' (১৯২২-১৯৪৭) থেকে জানতে পারি।
চিত্র শৈলী এবং বিষয়
'বেঙ্গল আর্ট স্কুল' এর একজন প্রকৃত প্রাচীন চিত্রশিল্পী হওয়ার অনুপ্রেরণায় তিনি লোক পট আঁকেন যা ঠাকুর বাড়ির মহিলাদের মধ্যে খুবই প্রচলিত ও গৃহস্থালিসংক্রান্ত বিষয় ছিল।
প্রায়শই তাঁর রচনাগুলিতে ভারতীয় মহাকাব্য এবং পৌরাণিক কাহিনীগুলির দৃশ্যগুলিকে চিত্রিত করতেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ হল :
সাধিকা , অর্ধনারীশ্বর , সতীর দেহাত্যাগ , মিল্ক মেইডস এবং যশোদা ও কৃষ্ণা ।
স্টেলা ক্রামরিশের মতে, তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম আধুনিক চিত্রশিল্পী।
1922 সালে কলকাতায় বাউহাউস শিল্পীদের প্রদর্শনীর অংশ হিসাবে তাঁর কাজগুলি প্রদর্শিত হয়েছিল।
শুরু থেকেই তাঁর কাজগুলো মৌলিক এবং সাহসী। এগুলি প্রাচীন জৈন পাণ্ডুলিপির চিত্রগুলির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ । তিনি সম্পূর্ণরূপে ধোয়ার কৌশল প্রয়োগ করেন এবং পরে তাঁর কাজগুলি গ্রামের মাটির পুতুলের মতো দেশীয় চিত্রের প্রতিধ্বনি করে যা অলঙ্করণ হিসাবে ব্যবহৃত হবে। তাঁর কাজগুলি আদিম সরলতার আধুনিকতাবাদী সংলাপের সংমিশ্রণ এবং এটির সাংস্কৃতিক পরিচয়ের মূলে থাকা একটি বৃহত্তর জাতীয় বক্তৃতা, এইভাবে একটি জাতীয়তাবাদী শিল্পী হিসাবে তার ভাবমূর্তি খোদাই করে। তার প্রতিকৃতির সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ তাকে একজন সাদাসিধে চিত্রশিল্পী হিসেবে সম্বোধন করতে পরিচালিত করেছে, যিনি লোভনীয় এবং সংবেদনশীলতার সাথে লোক থিম ব্যবহার করেছেন।
প্রদর্শনী
1908, 10, 12 প্রদর্শনী, ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট, কলকাতা
1911 ইউনাইটেড প্রভিন্স এক্সএইচবি। ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট, এলাহাবাদ দ্বারা সংগঠিত
1911 ফেস্টিভ্যাল অফ এম্পায়ার, ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট জর্জ পঞ্চম এর রাজ্যাভিষেকের জন্য আয়োজিত, ক্রিস্টাল প্যালেস, লন্ডন
1924 ভ্রমণ প্রদর্শনী। ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট এবং আমেরিকান ফেডারেশন অফ আর্ট, USA দ্বারা আয়োজিত
2004 ম্যানিফেস্টেশন II, দিল্লি আর্ট গ্যালারি, জাহাঙ্গীর আর্ট গ্যালারি, মুম্বাই এবং দিল্লি আর্ট গ্যালারি, নতুন দিল্লি দ্বারা সংগঠিত
2011 সামার মরুদ্যান, চিত্রকূট আর্ট গ্যালারী দ্বারা সংগঠিত,
তাঁর আঁকা কয়েকটি বিখ্যাত ছবি হলো 'মা যশোদা', নেপথ্যে','বাউল'।
সুনয়নী দেবীর আঁকা অনেক যাদুঘরের সংগ্রহের অংশ। যার মধ্যে রয়েছে:
• ভারতীয় জাদুঘর কলকাতা
• ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট, ব্যাঙ্গালোর
• ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট, নতুন দিল্লি
• ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারি, চেন্নাই
• শ্রী চিত্র আর্ট গ্যালারি, তিরুবনন্তপুরম
• জগনমোহন প্রাসাদ, মহীশূর
• লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়
• রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় যাদুঘর, কলকাতা
• অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, কলকাতা।
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির পাঁচ নম্বর বাড়িতে যখন থাকতেন সুনয়নী দেবী, তখনও তিনি বাড়ির ছোটদের নিয়ে এ ভাবেই নাটক করাতেন, গান শেখাতেন। ঠাকুরবাড়ির লোকারণ্য থেকে কখনও আবার নিজেকে সরিয়ে আনতেন তাঁর আপন জগতে। সে জগৎ লেখায়, আঁকায়, গানে ভরা। প্রতিমা দেবীর স্মৃতিকথায়, তাঁর মাসি সুনয়নী দেবীর এই আপন জগতের খোঁজ পাওয়া যায়— ‘মাঝে মাঝে আমরা শুনতে পেতুম সেতারের ঝংকার। লোকারণ্য বাড়ি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আপন জগতের মধ্যে সংগীতসাধনায় মগ্ন থাকতেন তিনি। দ্বিপ্রহরের পর বাড়িসুদ্ধ লোকের যখন বিশ্রামের সময়, মাসি তখন আপন মনে ইংরেজি ডিকসনারি নিয়ে পড়াশুনো করতেন।’ এ সুনয়নীর নিজের ঘর, একার ঘর— আত্মপ্রকাশের ঘর। মেয়েদের নিজের একটা ঘর চাই, এই দাবি বিশ শতকে নানা ভাবে উঠতে শুরু করেছিল। রবীন্দ্রনাথের মৃণাল নিজের ঘর পেল না বলেই তাকে কলকাতার গলি ছেড়ে স্বামীর চরণতলাশ্রয় ছিন্ন করে চলে যেতে হয়েছিল। ভার্জিনিয়া উলফ মেয়েদের কলেজে নিজের ঘর নিয়ে যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন সে ১৯২৯ সালের কথা, সে বছরই প্রকাশিত হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’ আর ‘যোগাযোগ’। ‘শেষের কবিতা’-র লাবণ্য আর্থিক দিক দিয়ে স্বনির্ভর। অমিতকে, অমিতর সঙ্গে দিনযাপনের স্বপ্নকে প্রত্যাখ্যান করেছিল সে। সুনয়নীর সৌভাগ্য, জীবনে অনুকূল সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশ পেয়েছিলেন তিনি। তবে পরিবেশের আনুকূল্য পেলেই তো সবাই আত্মপ্রকাশ করতে পারেন না, সুনয়নী পেরেছিলেন।
এক দিন অবনীন্দ্রনাথের কাছে শিখতে শুরু করলেন ওয়াশ পদ্ধতিতে ছবি আঁকার কৌশল। সুনয়নী দেবী তখন তিরিশের দোরগোড়ায়। রং-তুলির ভিতর নতুন করে নিজেকে খুঁজে পেলেন। সেতারের বদলে বসলেন রং-তুলি নিয়ে। দাদাদের থেকে ছবি আঁকায় অনুপ্রাণিত হলেও তাঁর ছবি অবনীন্দ্র-গগনেন্দ্রর প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। অবনীন্দ্রনাথ তখন আর্ট কলেজের উপাধ্যক্ষ। গগনেন্দ্রনাথ, সুনয়নী দেবীর ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে অবনীন্দ্রনাথকে ‘সার্টিফিকেট’ লিখে দেওয়ার অনুরোধ করলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। বলেছিলেন, ‘ও যে ধারায় ছবি আঁকছে তার জন্যে আমায় আর সার্টিফিকেট লিখে দিতে হবে না। পরে দেশের লোকের কাছ থেকে ও নিজেই সার্টিফিকেট আদায় করে নেবে।’ তেমনটাই হল। এই ভিন্ন ধারার ছবিই সুনয়নী দেবীকে পরবর্তী কালে নিজের পরিচয় গড়তে সাহায্য করল। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ল ছবিগুলি। ১৯২৭ সালে লন্ডনের ‘উইমেন্স আর্ট ক্লাব’-এ তাঁর ছবির প্রদর্শনীও হয়। তাঁর পুত্রও বিদেশে নিয়ে গিয়েছিলেন মায়ের আঁকা বেশ কিছু ছবি। সেগুলি সমাদৃত হয়েছিল, কয়েকটি ছবি বিক্রিও হল সেখানে। কিন্তু বিশ শতকের শুরুতে তো ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে মেয়েদের আত্মপ্রকাশ ততটাও প্রচলিত ছিল না। অথচ সেই সময়েই সুনয়নী দেবী আঁকলেন আত্মপ্রতিকৃতি। সালটা ১৯২০।
সুনয়নী দেবীর ছবিতে প্রধানত একাকী মেয়েদের আনাগোনা। শিরোনামহীন একটি ছবির কথা মনে পড়ে। ছাদের ধারে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটি। পরনে নীল শাড়ি। খোঁপায় আর হাতে জড়ানো সাদা ফুলের মালা। বাঁশ গাছের আড়াল থেকে চাঁদ উঁকি দিচ্ছে। সে দিকে তাকিয়েই দাঁড়িয়ে আছে সে। যেন বিভোর হয়ে আছে কোনও কিছু মনে পড়ায়। চোখে তার বিষাদ নেই, শুধু একাকিত্ব যাপন। কার অপেক্ষায় তার এই চেয়ে থাকা? জানে না কেউ। তার নীল শাড়ির গা বেয়ে সাদা ফুলের মালা লুটিয়ে পড়তে দেখে মনে পড়ে যায় বৈষ্ণব পদাবলির নীলাম্বরী রাধার কথা। তার এই একাকিত্বে অপেক্ষা আছে, হয়তো দয়িতের জন্য অপেক্ষমাণ মেয়েটি, কিন্তু বিরহ-বিধুরতা নেই। বিরহে আত্মবিস্মৃত হয়নি— এ যেন নতুন দিনের মেয়ের ছবি। অপেক্ষা ধারণ করতে পারেন তাঁরা।
সুনয়নী দেবীর ছবি ও ছবির নিজস্বতার কথা হয়তো আজ আর তেমন কারও মনে নেই। তবে সত্যজিৎ রায়ের মনে ছিলেন তিনি। ১৯৭৪ সাল তখন। কলকাতায় নিজের বাড়িতে শিল্প নিয়ে পৃথ্বীশ নিয়োগীর সঙ্গে সত্যজিৎ এক দীর্ঘ আলোচনা করেন। সেখানে তিনি সুনয়নী দেবীর ছবির আলো-ছায়ার কাজ, রঙের ব্যবহার নিয়ে কথা বলেছেন। বলেছেন, লাল, নীল, হলুদ, কালো এবং সাদা-ই মূলত ব্যবহার করতেন সুনয়নী। তাঁর ছবির চরিত্রদের চোখ-নাক-মুখে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ধরন,— ‘তিনি অবনীন্দ্রনাথ-গগনেন্দ্রনাথের পাশাপাশি বসেও একটা অন্য ধরনের কাজ করেছেন। অনেকের জানা নেই, তিনি কিন্তু অনেক ছবি এঁকেছেন-অনেক নষ্ট হয়ে গেছে, বহু ছবি এঁকেছেন ঘর-সংসার করে। গভীর স্নিগ্ধ রঙ। খুব শান্ত গোছের ছবি।’
দায়িত্বশীলা মা হয়েও, বড় সংসারের গৃহিণী হয়েও তিনি ছবি আঁকলেন অজস্র। পাতার দু’দিকে আঁকা ছবিগুলির মধ্যে পেনসিলের দাগ নেই, আছে কেবল রং-তুলির ব্যবহার। এর থেকে বোঝা যায় তাঁর আত্মপ্রত্যয়ী মনটার কথা। এ-ও বোঝা যায়, ছবি কেমন হবে, তা নিয়ে তিনি কখনও চিন্তিত হননি। বিশেষ কোনও লক্ষ্যেও পৌঁছতে চাননি কোনও দিন। তিনি এঁকেছেন আপন খেয়ালে। ভারতের আধুনিক চিত্রকলার জগতে সুনয়নী দেবীই প্রথম মহিলা চিত্রশিল্পী, যিনি লোকশিল্পকে এনেছেন। ছেলেবেলা থেকেই তাঁর পৌরাণিক ছবির প্রতি ভালবাসা ছিল। তাঁর ঘরের দেওয়াল ভরা ছিল পৌরাণিক ছবিতে। খুব পছন্দ করতেন কালীঘাটের পটচিত্র, তাই পটের ধারাকে নিজের ছবিতে বহু যত্নে স্থান দিলেন। পটের ছবিতে নিজের ব্যক্তিত্বের প্রবেশ ঘটিয়েছেন তিনি। তাঁর ছবির বিশেষত্ব এখানেই। ছবিগুলিতে চরিত্রদের আধবোজা, সম্প্রসারিত চোখ ও লম্বা ভুরু, এক অন্য মাত্রা এনে দিল, যা পরবর্তী কালে যামিনী রায়কে ভীষণ ভাবে অনুপ্রাণিত করে।
==={{{{{{{{{{{{{{{{∆∆∆∆∆∆}}}}}}}}}}}}}}}}===
No comments:
Post a Comment