মাউরিৎস কোর্নেলিস এশ্যর
Maurits Cornelis Escher)
একজন ওলন্দাজ চিত্রলেখ শিল্পী (graphic artist)। তিনি গাণিতিক চিন্তাধারায় প্রভাবিত কাঠ, পাথর ও ধাতুর খোদাইকর্মের জন্য বিখ্যাত; অসম্ভব গঠন (impossible constructions), অসীমের সন্ধান (exploration of infinity) ও স্তরীকরণ (tesselation) তার কাজের বিশিষ্ট দিক। এছাড়া তার কাজের মধ্যকার অপটিক্যাল ইল্যুশন বা দৃষ্টিবিভ্রম সংক্রান্ত কাজগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য.
জন্ম ১৭ জুন ১৮৯৮ সালে নেদারল্যান্ডের লীউয়ারডেন-এর একটি বাড়িতে।তিনি যে বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তা আজ প্রিন্সেসহফ সিরামিকস যাদুঘরের অংশ। তিনি ছিলেন পুর প্রকৌশলী জর্জ আর্নল্ড এসচার এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সারা গ্লাইচম্যানের কনিষ্ঠ পুত্র। ১৯০৩ সালে, পরিবার আর্নহমে চলে যায়, যেখানে তিনি ১৯১৮ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। হারলেম-এ ১৯১৯ থেকে ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত লেখাপড়া করেন স্কুল অফ আর্কিটেকচার অ্যান্ড ওর্নামেন্টাল ডিযাইন-এ, যেখানে তিনি উডকাটিং-এর উপর বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন। তিনি অসুস্থ শিশু ছিলেন এবং তাকে সাত বছর বয়সে একটি বিশেষ স্কুলে স্থান দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু তিনি দ্বিতীয় শ্রেণিতে ফেল করেন।
যদিও তিনি অঙ্কনে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন, তবে তার গ্রেডগুলি সাধারণত কম ছিল।তিনি তেরো বছর বয়স হওয়ার আগেই তড়িৎ ও পিয়ানো শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। ১৯২২ থেকে ১৯৩৪ পর্যন্ত তিনি ইতালিতে ছিলেন, এরপর ছিলেন সুইযারল্যান্ড এবং বেলজিয়াম-এ; ১৯৪১-এ তিনি নেদারল্যান্ডের বার্ন-এ স্থায়ী আবাস শুরু করেন। তিনি সংক্ষিপ্তভাবে আর্কিটেকচার অধ্যয়ন করেছিলেন, তবে তিনি বেশ কয়েকটি বিষয়কে ব্যর্থ হয়েছিলেন (আংশিকভাবে ত্বকের সংক্রমণের কারণে) এবং গ্রাফিক শিল্পী স্যামুয়েল জেসুরুন ডি মেসকিটার অধীনে অধ্যয়নরত থাকার সময় সজ্জাসংক্রান্ত কলাগুলি শিখেছিলেন।
১৯২২ সালে, তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর, এসময় ইতালির মধ্য ফ্লোরেন্স, সান গিমিগানো, ভোল্টেরা, সিয়েনা এবং রাভেলো ভ্রমণ করে ভ্রমণ করেছিলেন। তাকে ইতালির গ্রামাঞ্চল মুগ্ধ করে। আলহাম্বরা-এর জটিল নকশা গুলো তাকে নানা ভাবে প্রভাবিত করতে থাকে।
১৯৩৫ সালে, ইতালির রাজনৈতিক আবহাওয়া (মুসোলিনির অধীনে) এসচারের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। রাজনীতির প্রতি তার কোনো আগ্রহ ছিলো না। সেই সময় মনে করেছিলেন নিজেকে নিজেস্ব চিন্তার মধ্যে মনোযোগী হতে হবে। তবে তিনি ধর্মান্ধতা এবং ভণ্ডামির বিরুদ্ধে ছিলেন। নেদারল্যান্ডসের ডাকঘর ১৯৩৫ সালে "এয়ার ফান্ড" এর জন্য একটি সেমি-ডাকটিকিট ডিজাইন করেছিলেন, এরপরে ১৯৪৪ সালে তিনি নেদারল্যান্ডসের স্ট্যাম্পগুলি ডিজাইন করেছিলেন। এই সবগুলিই সর্বজনীন ডাক ইউনিয়নের ৭৫ তম বার্ষিকীর জন্য ছিল; একই সময়ে সুরিনাম ও নেদারল্যান্ডস এন্টিলস-এর একটি আলাদা নকশা ব্যবহার করেছিল।
১৯৬২ সালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কিছুদিনের জন্য কাজ বন্ধ রাখেন। পরবর্তিতে তার চিত্রগুলো Escher on Escher নামে বই আকারে প্রকাশিত হয়।১৯৫৫ সালে তাকে অর্ডার অফ অরেঞ্জ-নাসাউয়ের নাইটহডে ভূষিত করা হয়েছিল; পরে তাকে ১৯৬৭ সালে অফিসার করা হয়।১৯৬৯ সালে তিনি তার শেষ কাজটি সম্পূর্ণ করেন। কাঠে খোঁদায় করে ৩ গুণ প্যাঁচালো একটি নকশা তৈরি করেন যার নাম দেন সাপ। সেটাকে এমনভাবে তৈরি করেন যা একটি বৃত্তের মাঝে ঘুরে প্যাঁচে আবদ্ধ থাকে।
এশ্যর গাণিতিক ভাবে চিত্র অঙ্কন করার দিকে মনযোগী হন। এটি তার জনপ্রিয়তার খ্যাতি এবং শিল্পের জগতে তাকে যে সম্মানের এক নতুন সংযোগ স্থাপন করেছে।তার এই কাজ গুলো শিল্প জগতে এক মৌলিকত্ব এনে দেয়। তার এই কাজের গুণাবলী জনসাধারণের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছিল।
টালিকরণ
মূল নিবন্ধ: টালিকরণ
এশ্যরের চিত্রের একটা বিশেষ দিক হলো টালিকরণ পদ্ধতি।টালিকরণ বলতে এক বা একাধিক জ্যামিতিক আকৃতির টালি দ্বারা এমনভাবে আবৃত করা বোঝায় যাতে টালিগুলির মাঝে কোন ফাকঁ বা উপরিপাতন না হয়। গাণিতিকভাবে টালিকরণ আরও উচ্চতর মাত্রার এবং নানা প্রকারের জ্যামিতিক আকৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়।
কিছু চিত্রকর্ম
গাছ, কালি (১৯২০)
আট মাথা, কাঠে খোদাই ছবি (১৯২২)
ব্রিজ, লিথোগ্রাফ (১৯৩০)
সাপ, কাঠে খোদাই ছবি (১৯৬৯)
Geometries
Further information: Perspective (geometry) and Curvilinear perspective
Escher at work on Sphere Surface with Fish (1958) in his workshop, using a stick as a support, late 1950s
Although Escher did not have mathematical training – his understanding of mathematics was largely visual and intuitive – his art had a strong mathematical component, and several of the worlds that he drew were built around impossible objects. After 1924 Escher turned to sketching landscapes in Italy and Corsica with irregular perspectives that are impossible in natural form. His first print of an impossible reality was Still Life and Street (1937); impossible stairs and multiple visual and gravitational perspectives feature in popular works such as Relativity (1953).[e] House of Stairs (1951) attracted the interest of the mathematician Roger Penrose and his father, the biologist Lionel Penrose. In 1956, they published a paper, "Impossible Objects: A Special Type of Visual Illusion" and later sent Escher a copy. Escher replied, admiring the Penroses' continuously rising flights of steps, and enclosed a print of Ascending and Descending (1960). The paper contained the tribar or Penrose triangle, which Escher used repeatedly in his lithograph of a building that appears to function as a perpetual motion machine, Waterfall (1961)।
Escher often incorporated three-dimensional objects such as the Platonic solids such as spheres, tetrahedrons, and cubes into his works, as well as mathematical objects such as cylinders and stellated polyhedra. In the print Reptiles, he combined two- and three-dimensional images. In one of his papers, Escher emphasized the importance of dimensionality:
The flat shape irritates me — I feel like telling my objects, you are too fictitious, lying there next to each other static and frozen: do something, come off the paper and show me what you are capable of! ... So I make them come out of the plane. ... My objects ... may finally return to the plane and disappear into their place of origin.
Escher's artwork is especially well-liked by mathematicians such as Doris Schattschneider and scientists such as Roger Penrose, who enjoy his use of polyhedra and geometric distortions. For example, in Gravitation, animals climb around a stellated dodecahedron।
Levels of reality
Escher's artistic expression was created from images in his mind, rather than directly from observations and travels to other countries. His interest in the multiple levels of reality in art is seen in works such as Drawing Hands (1948), where two hands are shown, each drawing the other.[g] The critic Steven Poole commented that
It is a neat depiction of one of Escher's enduring fascinations: the contrast between the two-dimensional flatness of a sheet of paper and the illusion of three-dimensional volume that can be created with certain marks. In Drawing Hands, space and the flat plane coexist, each born from and returning to the other, the black magic of the artistic illusion made creepily manifest.
October 2015 to the Dulwich Picture Gallery, London. The exhibition poster is based on Hand with Reflecting Sphere, 1935, which shows Escher in his house reflected in a handheld sphere, thus illustrating the artist, his interest in levels of reality in art (e.g., is the hand in the foreground more real than the reflected one?), perspective, and spherical geometry.The exhibition moved to Italy in 2015–2016, attracting over 500,000 visitors in Rome and Bologna,and then Milan.
Main article: M. C. Escher in popular culture
Escher's fame in popular culture grew when his work was featured by Martin Gardner in his April 1966 "Mathematical Games" column in Scientific American. Escher's works have appeared on many album covers including The Scaffold's 1969 L the P with Ascending and Descending; Mott the Hoople's eponymous 1969 record with Reptiles, Beaver & Krause's 1970 In A Wild Sanctuary with Three Worlds; and Mandrake Memorial's 1970 Puzzle with House of Stairs and (inside) Curl Up.[l] His works have similarly been used on many book covers, including some editions of Edwin Abbott's Flatland, which used Three Spheres; E. H. Gombrich's Meditations on a Hobby Horse with Horseman; Pamela Hall's Heads You Lose with Plane Filling 1; Patrick A. Horton's Mastering the Power of Story with Drawing Hands; Erich Gamma et al.'s Design Patterns: Elements of Reusable Object-oriented software with Swans; and Arthur Markman's Knowledge Representation with Reptiles.[m] The "World of Escher" markets posters, neckties, T-shirts, and jigsaw puzzles of Escher's artworks। Both Austria and the Netherlands have issued postage stamps commemorating the artist and his works।
=========∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆=========
No comments:
Post a Comment