Sunday, 17 July 2022
শুভ প্রয়াণ দিবস। শুভো ঠাকুর। Vol -798. Dt - 17.07.2022. ৩২ আষাঢ় ১৪২৯. রবিবার। The bolgger in litareture e-magazine
Friday, 15 July 2022
শুভ প্রয়াণ দিবস। জার্মান নোবেল বিজয়ী কথাসাহিত্যিক হাইনিরিখ বয়েল।(Heinrich Böll) Vol -797. Dt - 16.07.2022. ২৯ আষাঢ়,১৪২৯. শনিবার। The bolgger in litareture e-magazine
শুভ প্রয়াণ দিবস। বেঙ্গলি থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা হেরাসিম লেবেদেফ। Vol -796. Dt -15.07.2022. ২৮ আষাঢ়,১৪২৯. শুক্রবার। The bolgger in litareture e-magazine
হেরাসিম লেবেদেফ
জুলাই ১৫, ১৮১৭সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে তিনি মারা যান।
একজন রুশ অভিযাত্রী, ভাষাবিদ, অনুবাদক, সংগীতজ্ঞ এবং লেখক।এছাড়াও তিনি ছিলেন ভারতবিদ্যা বিষয়ের পণ্ডিত। এবং বেঙ্গলি থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা।
জন্ম রাশিয়ার ইউক্রেনের এক যাজক পরিবারে। পিতা স্তেফান লিয়েবেদেফ এবং মাতা পারাস্কোভিয়া লিয়েবেদেফ। সংগীতে দক্ষতার জন্য তিনি যৌবনে এক রাজপুরুষের সংস্পর্শে আসেন এবং তার সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে প্যারিস হয়ে লন্ডনে পৌঁছান। সেখানে তিনি ভারতীয় পণ্যসম্ভারে পূর্ণ দোকান দেখেন। এখান থেকেই এক যাত্রীবাহী জাহাজে ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই আগস্ট মাদ্রাজ বর্তমানে চেন্নাই পৌঁছান। এখানকার মেয়র কর্তৃক তিনি সংবর্ধিত হন এবং কয়েকটি আসরে সংগীত পরিবেশন করে কিছু অর্থ সংগ্রহ করেন। কিন্তু এখানে রক্ষণশীল সমাজে প্রবেশাধিকার না পেয়ে ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতায় আসেন। এই শহরের একমাত্র রুশ চিকিৎসকের সাহায্যে স্থানীয় সমাজে সংগীতজ্ঞরূপে প্রতিষ্ঠা পান। তার আসরের টিকিট মূল্য ছিল বারো টাকা। তিনিই প্রথম পাশ্চাত্য যন্ত্রে ভারতীয় সুর বাজিয়ে শোনান।
প্রথম বাংলা নাটকের রচয়িতা ও পরিচালক গেরাসিম স্তেপানোভিচ লেবেদেফ কলকাতায় "দ্য বেঙ্গলি থিয়েটার" নামে একটি থিয়েটার গড়ে তোলেন। ২৫ নম্বর ডোমতলায় (এজরা স্ট্রীট) একটি বাড়িতে গড়ে উঠে এই থিয়েটার। দ্য ডিজগুয়িজ (The disguise) এর অনুবাদে প্রথম অনুদিত বাংলা নাটকটির নাম "সংবদল"। এটি ১৭৯৫ সালের ২৭ শে নভেম্বর প্রথম প্রদর্শিত হয়। এই সময় বিশিষ্ট ইংরেজদের জন্য মূল্যবান আসনের দু-টি থিয়েটার ছিল। লেবেডেফের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত ইংরেজগণ প্রত্যক্ষভাবে জোসেফ ব্যাটেল নামে সিন পেন্টার ও মি হে নামে এক রাজকর্মচারীর সাহায্যে লেবেডেফের থিয়েটারে আগুন লাগিয়ে নষ্ট করে দেয়।
কলকাতায় থাকাকালীন তিনি পণ্ডিত গোলক নাথ দাসের নিকট এদেশের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্বন্ধে শিক্ষা লাভ করেন, বিশেষত বাংলা ও সংস্কৃত ভাষা ও ভারতচন্দ্র রায়ের কাব্যের সংস্পর্শে আসেন। এদেশে আসার আগেই অবশ্য তিনি কালিদাসের রচনার সাথে পরিচিত ছিলেন। তিনিই প্রথম বাংলার ব্যাকরণ নিয়ে প্রথম চিন্তাভাবনা করেন বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। তিনি ভালো ভায়োলিন বাজাতে পারতেন।
একজন ইংরেজ মহিলার সঙ্গে প্রণয় ও ব্যর্থতা লেবেডেফের জীবনের অন্যতম বিপর্যয়। ঋণের দায়ে তাঁকে আদালতে যেতে হয়। সবশেষে ব্রিটিশ কোম্পানির কর্তৃপক্ষ তাঁকে কলকাতা ত্যাগ করতে বাধ্য করে। শেষজীবনে স্বদেশে ফিরে পররাষ্ট্র দপ্তরে কাজ করেন। রুশদেশে ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতি প্রচারের জন্য তিনি সম্রাটকে পত্র দিয়েছিলেন।
তার জীবনী নিয়ে মামুনুর রশীদ লেবেদেফ নামের একটি নাটক রচনা করেছেন.
লেবেডেফের নিত্য সঙ্গী ছিলেন গোলকনাথ দাস। তাঁরই সহযোগিতায় তিনি নাটকে মহিলা চরিত্রে বাঙালি অভিনেত্রী নিয়োগে সচেষ্ট হয়েছিলেন। সাহেবি থিয়েটারে ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে শ্রীমতী ব্রিস্টোর আবির্ভাবের পূর্বে পুরুষরাই স্ত্রী চরিত্রে অভিনয় করতেন। সুতরাং লেবেডেফের অভিনয়ে স্ত্রী লোকের ভূমিকায় স্ত্রীলোক গ্রহণ অবশ্যই অভিনয়ের একটি আকর্ষণীয় দিক। গোলকনাথ দাস শুধু বাঙালি অভিনেতা ও অভিনেত্রী সংগ্রহ করে দেননি—তিনি তাঁদের অভিনয়—শিক্ষাও দিয়েছিলেন। খিদিরপুর ডক অঞ্চলের বারবনিতারাই তখন অভিনেত্রীর ভূমিকা গ্রহণ করত। কিন্তু যাত্রা রসরসিক গোলকনাথ দাস, যারা তখন ঝুমুরগান গাইত, সারিগান, জারিগান গাইত এবং কীর্তনাদি গাইত তাদের মধ্যে থেকেই অভিনেত্রী নির্বাচন করেছিলেন বলে অনুমান করা হয়।
লেবেডেফের ইচ্ছা ছিল শুধু কলকাতা নয়, গ্রামাঞ্চলেও তাঁর নাটকের অভিনয় করেন, এবং এইমর্মে বিজ্ঞাপনও দিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর এই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তাঁর অভিনয়ের জনপ্রিয়তায় ইংরেজি থিয়েটারের কর্তৃপক্ষেরা খুশি হতে পারেননি। তৎকালীন সরকারের অনুগ্রহপুষ্ট বিলেতি থিয়েটারের কর্তৃপক্ষরা নানাভাবে তাঁরই ক্ষতিসাধন করতে চেষ্টা করেন। লেবেডেফ তাঁর অভিনয়ে জোসেফ ব্যাটল নামে একজন ইংরেজ দৃশ্যপট শিল্পীর সাহায্য লাভ করেছিলেন। কিন্তু জোসেফ বন্ধুভাবে তাঁর দলে যোগ দিলেও লেবেডেফের দল থেকে অভিনেতা অভিনেত্রীদের ভাঙাতে এসেছিলেন। তাঁকে বন্ধুর বেশে এই শত্রুতা করতে পাঠিয়েছিলেন লেবেডেফের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী টমাস রোয়ার্থ। তাঁরই চক্রান্তে একে একে প্রায় সকলেই লেবেডেফের দল ছেড়ে চলে যায়। লেবেডেফ আইনের সাহায্য নিতে গিয়ে দেখেন যে টমাস রোয়ার্থের প্রভাবে কোনো আইনজীবীই তাঁকে সাহায্যে করতে অনিচ্ছুক। শেষে তিনি থিয়েটারের যাবতীয় সাজসরঞ্জাম বিক্রি করে দিয়ে লন্ডন হয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।লণ্ডনে অবস্থানকালে তিনি Grammar of the Pure and Mixed East Indian Languages গ্রন্থটি প্রকাশ করেন
।১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জুলাই সেন্ট পিটার্সবার্গে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অবদান :
১। পরবর্তী বাংলা নাট্যশালার ধারাবাহিকতার সঙ্গে তাঁর অভিনয়ের স্পষ্ট যোগ না থাকলেও তৎকালীন যাত্রার ওপর তাঁর অভিনয় রীতি কিছু প্রভাব বিস্তার করেছিল।
২। সামাজিক ও রসাত্মক বিষয় অবলম্বনের মধ্যে দিয়েই বাংলার নাট্যশালা যে একদিন প্রতিষ্ঠা লাভ করবে এ ইঙ্গিত তাঁর প্রচেষ্টায় আভাসিত হয়ে উঠেছিল।
৩। নাচ ও গান বাংলা নাট্যশালায় যে দীর্ঘকাল আধিপত্য বিস্তার করে আসছে তা লেবেডেফেরই অবদান।
। যাত্রার মধ্যে দৃশ্যবিভাগ ও গর্ভাঙ্ক রচনার মূলেও লেবেডেফের নাটকের প্রভাবের কথা অনুমান করা হয়।
৫। সর্বোপরি, বাংলা রঙ্গালয়ের আজ এই যে রমরমা ভাব তা মূলত লেবেডেফের দ্বারাই সম্ভব হয়েছে একথা ভুললে চলবে না।
তই বলতে হয়, বাংলায় ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয় দর্শক থেকে যেসব যাত্রার অভিনয় হয়েছে, সেগুলি নানা বিষয়ে নৃতনত্বের জন্যে ‘নূতন যাত্রা’ নামে অভিহিত হয়েছে। লেবেডেফের যুগান্তকারী অভিনয়ের পরেই যাত্রার মধ্যে এইসব পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে বলে কেউ কেউ মনে করেন যে,
‘The Disguise-এর বাংলা অনূদিত নাটকের অভিনয়-প্রভাবেই এই পরিবর্তন। অতএব তিনিই যে বাংলা রঙ্গমঞ্চের ক্ষেত্রে কিংবদন্তী পুরুষ সেকথা অত্যুক্তি নয়।==============={{{{{{{{{}}}}}}}}}}}}}{{{{{{{{{
Wednesday, 13 July 2022
গ্রন্থালোচনা । শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত। শ্রীম । Vol -795. Dt -14.07.2022. ২৭ আষাঢ় ,১৪২৯. বৃহস্পতিবার। The blogger in literature e-magazine.
লেখকের শুভ জন্মদিনে পরম পবিত্র বইটি নিয়ে বিশেষ আলোচনা -
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত
বইতে উনিশ শতকের হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের কথোপকথন ও কার্যকলাপের বিবরণী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কথামৃত-এর পাঁচটি খণ্ড যথাক্রমে ১৯০২, ১৯০৪, ১৯০৮, ১৯১০ ও ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয়।
লেখক পরিচিতি:
মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত । যিনি "শ্রীম" ছদ্মনামে রচনা করেন। তিনি কলকাতার রিপন কলেজের অধ্যাপক। কলকাতার একাধিক স্কুলে তিনি শিক্ষকতাও করেছিলেন। ১৩ বছর বয়স থেকে তিনি ডায়েরি লিখতেন। ১৮৮২ সালে রামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে তার আলাপ হয়। রামকৃষ্ণের ব্যক্তিত্বে আকর্ষিত হয়ে মহেন্দ্রনাথ তার কথোপকথন ও কার্যকলাপের স্টেনোগ্রাফিক রেকর্ড রাখতে শুরু করেন নিজের ডায়েরিতে।
এই রেকর্ড পরবর্তীকালে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত
নামক বইয়ের আকার নেয়।প্রথম দিকে মহেন্দ্রনাথ যখন ডায়েরি লিখতে শুরু করেছিলেন, তখন তার সেটি প্রকাশের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। রচনাপদ্ধতি সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন, "বাড়ি ফেরার পর স্মৃতি থেকে সব কিছু লিখে রাখতাম। মাঝে মাঝে সারা রাতও জেগে থাকতে হত...মাঝে মাঝে টানা সাত দিন বসে থেকে লিখতে হত। গানগুলিকে স্মরণে আনতে হত, কোনক্রমে সেগুলি গাওয়া হয়েছিল, সেগুলিও মনে করতে হত, সমাধি ও অন্যান্য সব ঘটনার কথা মনে করতে হত।" কথামৃতের প্রতিটি পরিচ্ছেদে মহেন্দ্রনাথ তথ্যের পাশাপাশি সময় ও স্থানের উল্লেখ করেছেন।
গ্রন্থ সম্পর্কিত:
"কথামৃত" শব্দটি বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থ ভাগবত পুরাণ-এর ১০।৩১।৯ সংখ্যক শ্লোক থেকে গৃহীত।
"কথামৃত-এর প্রথম খণ্ড (১৯০২) প্রকাশের আগে আ লিফ ফ্রম দ্য গসপেল অফ শ্রীরামকৃষ্ণ (১৮৯৭) নামে একটি ছোট ইংরেজি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসের মৃত্যুর পর তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে মহেন্দ্রনাথ নিজের ডায়েরিটি প্রকাশের উদ্যোগ নেন। তিনি ভেবেছিলেন এর মাধ্যমে রামকৃষ্ণের চিন্তাভাবনার কথা সঠিকভাবে লোকসমক্ষে প্রচার করা যাবে। ডায়েরি প্রকাশের আগে তিনি সারদা দেবীর অনুমতিও নেন। ১৮৯৮ থেকে ১৯০২ সালের মধ্যে তার ডায়েরির অংশবিশেষ বঙ্গদর্শন, উদ্বোধন, হিন্দু পত্রিকা, সাহিত্য পত্রিকা, জন্মভূমি প্রভৃতি প্রথম সারির সাময়িকপত্রে প্রকাশিত হয়। কিন্তু ‘কথামৃত’ শব্দটি প্রথমে ছিল না। তত্ত্বমঞ্জুরী পত্রিকায় নাম ছিল ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলামৃত’ পরে নাম হল ‘ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণপরমহংসের কথা’ ১৮৯৯ থেকে ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতম্’। প্রথম চারটি খণ্ড যথাক্রমে ১৯০২, ১৯০৪, ১৯০৮ ও ১৯১০ সালে প্রকাশিত হয়। মহেন্দ্রনাথের অসুস্থতার জন্য পঞ্চম খণ্ডটির প্রকাশ বিলম্বিত হয়। অবশেষে ১৯৩২ সালে পঞ্চম খণ্ডটি প্রকাশিত হয়।১৯৩২ সালে মারা যাওয়ার আগে মহেন্দ্রনাথ ভেবেছিলেন ছয় বা সাতটি খণ্ড পর্যন্ত প্রকাশের পর তিনি গোটা বইটির বিষয়বস্তু কালানুক্রমিকভাবে সাজাবেন।
আলোচনা:
শ্রীম কথিত রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জীবনের দিনপঞ্জি, কথোপকথন, ধর্মোপদেশের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ (১৮৮২ সালের ফেব্রুয়ারি হতে ১৮৯৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের) যেমন বইটিতে লিপিবদ্ধ হয়েছে, তেমনই সমকালীন বহু মনীষীর সঙ্গে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের বাক্যালাপ ও সাক্ষাতকারের বিবরণ, বহু ধর্মসঙ্গীত, পরমহংসদেব কথিত গল্প ও উপদেশাবলী বইটিকে অমরত্ব দিয়েছে।
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত (প্রথম ভাগ)
সূচিপত্র
উপক্রমণিকা - ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের সংক্ষিপ্ত চরিতামৃত
প্রথম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ
দ্বিতীয় খণ্ড - শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার,আনন্দ ও কথোপকথন
তৃতীয় খণ্ড - সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ
চতুর্থ খণ্ড - শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ।
পঞ্চম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে শ্রীযুক্ত অমৃত, শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তের সঙ্গে কথোপকথন
ষষ্ঠ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর-কালীবাটীতে ভক্তসঙ্গে ব্রহ্মতত্ত্ব ও আদ্যাশক্তির বিষয়ে কথোপকথন — বিদ্যাসগর ও কেশব সেনের কথা।
সপ্তম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে
অষ্টম খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সিঁদুরিয়াপটী ব্রাহ্মসমাজে আগমন ওশ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী প্রভৃতির সহিত কথোপকথন
নবম খণ্ড - শ্রীযুক্ত জয়গোপাল সেনের বাড়িতে শুভাগমন
দশম খণ্ড - শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রের বাগানে মহোৎসব
একাদশ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের পণ্ডিত দর্শন
দ্বাদশ খণ্ড - সিঁথির ব্রাহ্মসমাজ পুনর্বার দর্শন ও বিজয়কৃষ্ণ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগকে উপদেশ ও তাঁহাদের সহিত আনন্দ
ত্রয়োদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর ভক্তসঙ্গে
চতুর্দশ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণের ভক্তগৃহে আগমন ও তাঁহার সহিত নরেন্দ্র, গিরিশ, বলরাম, চুনিলাল, লাটু, মাস্টার, নারায়ণ প্রভৃতি ভক্তের কথোপকথন ও আনন্দ
পঞ্চদশ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণের ঈশান, ডাক্তার সরকার, গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে শ্যামপুকুরের বাটীতে আনন্দ ও কথোপকথন
ষোড়শ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণের সহিত বিজয়কৃষ্ণ, নরেন্দ্র, মাস্টার, ডাক্তার প্রভৃতি ভক্তের কথোপকথন ও আনন্দ
সপ্তদশ খণ্ড - শ্যামপুকুর বাটীতে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
অষ্টাদশ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণ,নরেন্দ্র, গিরিশ ঘোষ,ডাক্তার সরকার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে কথোপকথন ও আনন্দ
পরিশিষ্ট - ১ - বরাহনগরের মঠ
পরিশিষ্ট - ২ - মাস্টার কে অশ্বিনী কুমারের চিঠি ।
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত (দ্বিতীয় ভাগ)
সূচিপত্র
প্রথম খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ সঙ্গে
দ্বিতীয় খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মোৎসব।
তৃতীয় খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে — শ্রীযুক্ত অধর সেনের দ্বিতীয় দর্শন
চতুর্থ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সুরেন্দ্র ভবনে উৎসব মন্দিরে
পঞ্চম খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতায় ভক্তমন্দিরে
ষষ্ঠ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি মধ্যে
সপ্তম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে ভক্ত সঙ্গে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ
অষ্টম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে মন্দিরে ভক্ত সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
নবম খণ্ড - ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে
দশম খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও কমল কুটীরে শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেন
একাদশ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-কালীমন্দিরে ভক্তসঙ্গে
দ্বাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ
ত্রয়োদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে প্রাণকৃষ্ণ, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
চতুর্দ্দশ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ও কলিকাতায় চৈতন্যলীলা-দর্শন।
পঞ্চদশ খণ্ড - সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে শ্রীরামকৃষ্ণ — দুর্গাপূজা দিবসে
ষোড়শ খণ্ড - রামের বাটীতে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
সপ্তদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে নবমীপূজা দিবসে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
অষ্টাদশ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণের অধরের বাড়ি আগমন ও ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দ
উনবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
বিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে কালীপূজা মহানিশায় ভজনানন্দে- সমাধিস্থ শ্রীরামকৃষ্ণ
একবিংশ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মারোয়াড়ী ভক্ত মন্দিরে ভক্তসঙ্গে
দ্বাবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে পঞ্চবটীমূলে শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে
ত্রয়োবিংশ খণ্ড - দোলযাত্রাদিবসে শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে
চতুবিংশ খণ্ড - শ্রীরামকৃষ্ণের কলিকাতায় ভক্তমন্দিরে আগমন —শ্রীযুক্ত গিরিশ ঘোষের বাটীতে উৎসব
পঞ্চবিংশ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ শ্যামপুকুরে ভক্তসঙ্গে
ষড়বিংশ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কাশীপুর বাগানে ভক্তসঙ্গে
সপ্তবিংশ খণ্ড - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে কাশীপুরের বাগানে
পরিশিষ্ট - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তহৃদয়ে।
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত (তৃতীয় ভাগ)
সূচিপত্র
প্রথম খণ্ড - বিদ্যাসাগর ও ঠাকুর রামকৃষ্ণ
দ্বিতীয় খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে মণি প্রভৃতি সঙ্গে
তৃতীয় খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে মণি, বলরাম প্রভৃতি সঙ্গে
চতুর্থ খণ্ড - অধর, ৺যদু মল্লিক ও ৺খেলাত ঘোষের বাটীতে
পঞ্চম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে মণি প্রভৃতি সঙ্গে
ষষ্ঠ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, হাজরা, মণি প্রভৃতি সঙ্গে
সপ্তম খণ্ড - ঈশান মুখোপাধ্যায়ের বাটীতে ভক্তসঙ্গে
অষ্টম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্র, সুরেন্দ্র, ত্রৈলােক্য প্রভৃতি সঙ্গে
নবম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে পণ্ডিত শশধর প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ।
দশম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে অধর, বিজয়, মণি প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
একাদশ খণ্ড - প্রহলাদচরিত্রাভিনয় দর্শনে বাবুরাম,মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
দ্বাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে বাবুরাম, ছােট নরেন, মাষ্টার,পলটু, তারক প্রভৃতি(সম্ভবামি যুগে যুগে’)
ত্রয়ােদশ খণ্ড - অন্তরঙ্গ সঙ্গে বলরাম মন্দিরে ও দেবেন্দ্রের বাটীতে
চতুর্দশ খণ্ড - বলরাম মন্দিরে গিরিশ, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
পঞ্চদশ খণ্ড - বলরাম মন্দিরে নরেন্দ্র, ভবনাথ, গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
যােড়শ খণ্ড - ভক্তসঙ্গে ভক্তমন্দিরে, রামের বাটীতে
সপ্তদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে দ্বিজ, পণ্ডিতজী, মাষ্টার, কাপ্তেন, ত্রৈলােক্য, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
অষ্টাদশ খণ্ড - কলিকাতায় শ্রীনন্দ বসু প্রভৃতির বাটীতে
উনবিংশ খণ্ড - শোকাতুরা ব্রাহ্মণীর বাটীতে ভক্তসঙ্গে
বিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুর বাটীতে সুরেন্দ্র, মণি,ডাঃ সরকার, গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
একবিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুর বাটীতে ডাঃ সরকার, নরেন্দ্র, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
দ্বাবিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুরে কালীপূজা দিবসে ভক্তসঙ্গে
ত্রয়ােবিংশ খণ্ড - কাশীপুর বাগানে নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে
চতুর্বিংশ খণ্ড - কাশীপুরে নরেন্দ্র, রাখাল প্রভৃতি সঙ্গে (এর ভিতর থেকে যা কিছু )
পঞ্চবিংশ খণ্ড - কাশীপুর বাগানে নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে (বুদ্ধদেবতত্ব)
ষড়বিংশ খণ্ড - কাশীপুর বাগানে শশী, রাখাল, সুরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে
পরিশিষ্ট - বরাহনগর মঠ, নরেন্দ্রাদি ভক্তগণ।
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত (চতুর্থ ভাগ )
সূচিপত্র
প্রথম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ প্রভৃতি সঙ্গে
দ্বিতীয় খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, রাম নিত্যগােপাজা প্রভৃতি সঙ্গে
তৃতীয় খণ্ড - বলরাম মন্দিরে নরেন্দ্র, রাখাল, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
চতুর্থ খণ্ড - নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজে রাখাল, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
পঞ্চম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর রাখাল, রাম, তারক প্রভৃতি সঙ্গে
ষষ্ঠ খণ্ড - পেনেটীর মহােৎসবে রাখাল, রাম, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
সপ্তম খণ্ড - দক্ষিণেশ্নরে রাখাল, মাষ্টার, লাটু প্রভৃতি সঙ্গে
অষ্টম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তসঙ্গে
নবম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, রাম, কেদার প্রভৃতি সঙ্গে
দশম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, লাটু, মাষ্টার, মহিমা প্রভৃতি সঙ্গে
একাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখা, মাষ্টার, মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে
দ্বাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, রাম. নিত্য, অধর প্রভৃতি সঙ্গে
এয়ােদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে জন্মােৎসবদিবসে বিজয় কেদার, সুরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে
চতুর্দশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে সুরেন্দ্র, ভবনাথ, রাখাল, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
পঞ্চদশ খণ্ড - বলরামমন্দিরে মাষ্টার, বলরাম, শশধর প্রভৃতি সঙ্গে
ষােড়শ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, মাষ্টার, লাটু, শিবপুরের ভক্তগণ প্রভৃতি সঙ্গে
সপ্তদশ খণ্ড - অধরের বাটীতে নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে
অষ্টাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাম, বাবুরাম, অধর প্রভাত সঙ্গে
ঊনবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বয়ে নরেন্দ্র, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে
বিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে মহেন্দ্র, রাধিকা গােস্বামী প্রভৃতি সঙ্গে
একবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে লাটু, মাষ্টার মণিলাল, মুখুয্যে প্রভৃতি সঙ্গে
দ্বাবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে বাবুরাম, মাষ্টার, নীল কণ্ঠ, মনােমোহন প্রভৃতি সঙ্গে
ত্ৰয়ােবিংশ খণ্ড - বলরাম মন্দিরে নরেন্দ্র, নারাণাদি সঙ্গে
চতুবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, মাষ্টার, মহিমাচরণ প্রভৃতি সঙ্গে
পঞ্চবিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, পণ্ডিত শ্যামাপদ প্রভৃতি সঙ্গে
ষড়বিংশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে জন্মাষ্টমী দিবসে নরেন্দ্রাদি প্রভৃতি সঙ্গে
সপ্তবিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুরে ডাক্তার সরকার, নরেন্দ্র, শশী, মাষ্টার, গিরিশ, শরৎ প্রভৃতি সঙ্গে
অষ্টবিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুরে ডাকার সরকার, নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে
ঊনত্রিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুরে নরেন্দ্র, মণি প্রভৃতি সঙ্গে
ত্রিংশ খণ্ড - শ্যামপুকুরে মিশ্র, হরিবল্লভ, নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে
একত্রিংশৎ খণ্ড - কাশীপুর উদ্যানে নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
দ্বাত্রিংশৎ খণ্ড - কাশীপুর উদ্যানে নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
ত্রয়ত্রিংশৎ খণ্ড - কাশীপুর উদ্যানে নরেন্দ্র, লাটু প্রভৃতি সঙ্গে
বরাহনগর মঠ - নরেন্দ্র, রাখাল প্রভৃতি মঠের ভাইদের ৺ শিবরাত্রি ব্রত
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত (পঞ্চম ভাগ)
সূচিপত্র
প্রথম খণ্ড - বলরাম মন্দিরে রাখাল, নিত্যগোপাল, বলরাম প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে , প্রাণকৃষ্ণের বাটীতে মহােৎসব। রাম, কেদার, মনোমোহন প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ,কমলকুটীর-কেশব, সমাধ্যায়ী, ত্রৈলােক্য প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
দ্বিতীয় খণ্ড - দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে—রাম, মনােমোহন, রাখাল, সুরেন্দ্র, মাষ্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে,শ্যামপুকুর বিদ্যাসাগর স্কুলে ; গড়ের মাঠে সার্কাস দর্শন—পরে বলরামের বাটী-বলরাম, মাষ্টার প্রভৃতি সঙ্গে ,গরাণহাটায় ষড়ভুজ দর্শন ; রাজমােহনের বাড়ি , মনােমােহনের বাড়ি হইয়া সুরেন্দ্রের বাড়ি সুরেন্দ্র, মাষ্টার, সদরওয়াল সঙ্গে
তৃতীয় খণ্ড - সিন্দুরিয়া পটীতে মণি মল্লিকের ব্রহ্মোৎসবে—বিজয়, মণিলাল, মাষ্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে,দক্ষিণেশ্বরে রাম, মাষ্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
চতুর্থ খণ্ড - বেলঘরে গােবিন্দ মুখুয্যের বাড়ি—মহােৎসব,দক্ষিণেশ্বরে রাখাল, মাষ্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
পঞ্চম খণ্ড - সিঁথির বাগানে মহোৎসব,কাসারি পাড় হরিভক্তি-প্রদায়িনী সভায়,দক্ষিণেশ্বরে—মাষ্টার, মনােহর সাঁই, গােস্বামী সঙ্গে
ষষ্ঠ খণ্ড - কলিকাতায় বলরাম ও অধরের বাড়ি—সঙ্কীৰ্ত্তনানন্দে, দক্ষিণেশ্বর, মন্দিরে-রাখাল, মাষ্টার, কিশােরী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
সপ্তম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে—অধর, মাষ্টার, রামলাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে,বলরামের বাটী—মাষ্টারাদি ভক্তসঙ্গে,দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে—রাখাল, লাটু, কিশােরী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে,বলরাম মন্দিরে ও পরে অধরের বাড়ি
অষ্টম খণ্ড - অধরের বাড়ি—ঈশান, রাখাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
নবম খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে—রাখাল, হাজরা প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
দশম খণ্ড - অধরের বাড়ি—দুর্গাপূজা মহােৎসবে ভক্তসঙ্গে ।
একাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে-রাখাল, মাষ্টার, ঈশান, কিশােরী প্রভূতি ভক্তসঙ্গে
দ্বাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে—রাখাল, মাষ্টার, ঈশান, কিশােরী প্রভৃতি ভক্ত সঙ্গে
ত্রয়ােদশ খণ্ড - রামচন্দ্রের কাকুড়গাছির বাগানে ও সুরেন্দ্রের বাগানে শ্রীরামকৃষ্ণের আগমন,দক্ষিণেশ্বরে—রাখাল, মাষ্টার, লাটু প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
চতুর্দশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে—মাষ্টার, বলরাম, রাখাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
পঞ্চদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে-ফল হারিণী পূজা দিবসে
ষােড়শ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে-- জন্মোৎসব দিবসে
সপ্তদশ খণ্ড - গিরিশ-মন্দিরে ও পরে স্টার থিয়েটারে
অষ্টাদশ খণ্ড - দক্ষিণেশ্বরে—মেনাবলম্বী শ্রীরামকৃষ্ণ
পরিশিষ্ট - শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরেন্দ্র
পরিশিষ্ট (ক) শ্রীরামকৃষ্ণ ও বঙ্কিম
পরিশিষ্ট (খ) শ্রীরামকৃষ্ণ কেশবের সহিত দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে
পরিশিষ্ট (গ) শ্রীরামকৃষ্ণ সুরেন্দ্রের বাটীতে
পরিশিষ্ট (ঘ) শ্রীরামকৃষ্ণ মনােমােহন মন্দিরে
পরিশিষ্ট (ঙ) শ্রীরামকৃষ্ণ রাজেন্দ্র মিতের বাটীতে
পরিশিষ্ট (চ) শ্রীরামকৃষ্ণ জ্ঞান চৌধুরীর বাড়িতে ব্রহ্মোৎসবে ।
বিশেষত্ব :
গ্রন্থকার ছদ্মনামের অন্তরালে নিজ ব্যক্তিত্বকে অবলুপ্ত করে পরমহংসদেবের জীবন ও চরিতকথা অসামান্য নৈপুণ্যের সাথে তুলে ধরেছেন।
ভক্তের উদ্দেশে শ্রী শ্রী মা (Sri Maa Sarada) চিঠিতে লিখেছিলেন, "তাঁহার নিকট যাহা শুনিয়াছিলে সেই কথাই সত্য। ইহাতে তোমার কোন ভয় নাই। একসময় তিনিই তোমার কাছে ওই সকল কথা রাখিয়াছিলেন। এক্ষণে আবশ্যকমত তিনিই (Sri Ramkrishna) প্রকাশ করাইতেছেন। ওই সকল কথা ব্যক্ত না করিলে লোকের চৈতন্য হইবে নাই জানিবে। তোমার নিকট যে সমস্ত তাঁহার কথা আছে তাহা সবই সত্য। আমি একদিন তোমার মুখে শুনিয়া আমার বোধ হইল যে, তিনিই ওই সমস্ত কথা বলিতেছেন।"
"আমি ও আমার এই দুটি অজ্ঞান। ‘আমার বাড়ি’, ‘আমার টাকা’, ‘আমার বিদ্যা’, ‘আমার এই সব ঐশ্বর্য’ — এই যে-ভাব এটি অজ্ঞান থেকে হয়। ‘হে ঈশ্বর, তুমি কর্তা আর এ-সব তোমার জিনিস — বাড়ি, পরিবার, ছেলেপুলে, লোকজন, বন্ধু-বান্ধব — এ-সব তোমার জিনিস’ — এ-ভাব থেকে জ্ঞান হয়।"
মৃত্যুকে সর্বদা মনে রাখা উচিত। মরবার পর কিছুই থাকবে না। এখানে কতকগুলি কর্ম করতে আসা। যেমন পাড়াগাঁয়ে বাড়ি — কলকাতায় কর্ম করতে আসা। বড় মানুষের বাগানের সরকার, বাগান যদি কেউ দেখতে আসে, তা বলে ‘এ-বাগানটি আমাদের’, ‘এ-পুকুর আমাদের পুকুর’। কিন্তু কোন দোষ দেখে বাবু যদি ছাড়িয়ে দেয়, আর আমের সিন্দুকটা লয়ে যাবার যোগ্যতা থাকে না; দারোয়ানকে দিয়ে সিন্দুকটা পাঠিয়ে দেয়। (হাস্য)
“ভগবান দুই কথায় হাসেন। কবিরাজ যখন রোগীর মাকে বলে, ‘মা! ভয় কি? আমি তোমার ছেলেকে ভাল করে দিব’ — তখন একবার হাসেন; এই বলে হাসেন, আমি মারছি, আর এ কিনা বলে আমি বাঁচাব! কবিরাজ ভাবছে, আমি কর্তা, ঈশ্বর যে কর্তা — এ-কথা ভুলে গেছে। তারপর যখন দুই ভাই দড়ি ফেলে জায়গা ভাগ করে, আর বলে ‘এদিকটা আমার, ওদিকটা তোমার’, তখন ঈশ্বর আর-একবার হাসেন, এই মনে করে হাসেন; আমার জগদ্ব্রহ্মাণ্ড, কিন্তু ওরা বলছে, ‘এ-জায়গা আমার আর তোমার’।”
বিশ্বাস আর ভক্তি চাই — বিশ্বাসের কত জোর শুনঃ একজন লঙ্কা থেকে সমুদ্র পার হবে, বিভীষণ বললে, এই জিনিসটি কাপড়ের খুঁটে বেঁধে লও। তাহলে নির্বিঘ্নে চলে যাবে; জলের উপর দিয়ে চলে যেতে পারবে। কিন্তু খুলে দেখো না; খুলে দেখতে গেলেই ডুবে যাবে। সে লোকটা সমুদ্রের উপর দিয়ে বেশ চলে যাচ্ছিল। বিশ্বাসের এমন জোর। খানিক পথ গিয়ে ভাবছে, বিভীষণ এমন কি জিনিস বেঁধে দিলেন যে, জলের উপর দিয়ে চলে যেতে পাচ্ছি? এই বলে কাপড়ের খুঁটটি খুলে দেখে, যে শুধু ‘রাম’ নাম লেখা একটি পাতা রয়েছে। তখন সে ভাবলে, এঃ, এই জিনিস! ভাবাও যা, অমনি ডুবে যাওয়া।
“কথায় বলে হনুমানের রামনামে এত বিশ্বাস যে, বিশ্বাসের গুণে ‘সাগর লঙ্ঘন’ করলে! কিন্তু স্বয়ং রামের সাগর বাঁধতে হল!
“যদি তাঁতে বিশ্বাস থাকে, তাহলে পাপই করুক, আর মহাপাতকই করুক, কিছুতেই ভয় নাই।”
Tuesday, 12 July 2022
শুভ প্রয়াণ দিবস। বিশিষ্ট সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী। Vol -794. Dt -13.07.2022. ২৬ আষাঢ়,১৪২৯. The blogger in literature e-magazine
আশাপূর্ণা দেবী
১৯৯৫ সালের ১৩ জুলাই আশাপূর্ণা দেবীর মৃত্যু হয়৷।
আশাপূর্ণা সম্মানিত হয়েছিলেন জ্ঞানপীঠ পুরস্কারসহ দেশের একাধিক সাহিত্য পুরস্কার, অসামরিক নাগরিক সম্মান ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রিতে। বিশ্বভারতীর শ্রেষ্ঠ সম্মান ‘দেশিকোত্তম’ থেকে অজস্র সম্মানিক ডক্টরেট আর সোনার মেডেল পেয়েছেন তিনি৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৯৬৬ সালে ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ উপন্যাসের জন্য তাঁকে প্রদান করে পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সম্মান রবীন্দ্র পুরস্কার । ১৯৫৪ সালে তিনি ‘লীনা পুরস্কার’ পান৷ ১৯৬৩ সালে ‘ভুবনমোহিনী স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন ৷ ১৯৭৬ সালে তিনি ‘জ্ঞানপীঠ পুরস্কার’ পেয়েছেন এবং একই বছর তিনি ‘পদ্মশ্রী’তে ভূষিত হন৷ ১৯৭৪ সালে ‘সাহিত্য আকাদেমি’ পুরস্কার লাভ করেন।
১৯০৯ সালের ৮ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার পটলডাঙ্গায় মামাবাড়িতে আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম হয়। তাঁর বাবার নাম হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত। তাঁর বাবা পেশায় ছিলেন কমার্শিয়াল আর্টিস্ট, তখনকার বিখ্যাত বাংলা পত্রিকাগুলিতে তিনি ছবি আঁকতেন। তৎকালীন বিখ্যাত সি. ল্যাজারাস কোম্পানিতে নক্শা আঁকার কাজ করতেন তাঁর বাবা। মা সরলাসুন্দরী দেবীর কাছে সাহিত্যপাঠই ছিল তাঁর জীবনের একমাত্র উপভোগ্য। তিনি ছিলেন স্বনামধন্য বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, জ্ঞানপ্রকাশ লাইব্রেরি ও চৈতন্য লাইব্রেরির সদস্যা। আশাপূর্ণা দেবী তাঁর বাবা-মায়ের নয় সন্তানের মধ্যে পঞ্চম সন্তান ছিলেন। তাঁর চার বোন যথাক্রমে স্নেহলতা, রত্নমালা, সম্পূর্ণা ও লেখা এবং চার ভাই যথাক্রমে বীরেন্দ্রনাথ, ধীরেন্দ্রনাথ, হীরেন্দ্রনাথ ও সত্যেন্দ্রনাথ। আশাপূর্ণার আদি বাড়ি ছিল হুগলির বেগমপুরে। তবে কলকাতায় তাঁরা থাকতেন আপার সার্কুলার রোডের একটি বাড়িতে। ১৯২৪ সালে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা কালিদাস গুপ্তের সঙ্গে আশাপূর্ণা দেবীর বিয়ে হয়৷ তাঁদের তিন সন্তান যথাক্রমে পুষ্পরেণু, প্রশান্ত ও সুশান্ত।
আশাপূর্ণা দেবীর পড়াশোনা প্রথাগতভাবে এগোয়নি। আশাপূর্ণা একটি দিনের জন্যও কোন ইস্কুলে পড়েন নি। তার নিজের কথায়,- "আমাদের বাড়ি খুব রক্ষণশীল ছিল। মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার পাট ছিল না। স্কুলে যাওয়ার সুযােগ হয়নি। তবে পড়েছি সর্বদাই। সেই পড়াটি বাড়িতে এবং শুধুই গল্প উপন্যাস।" তাঁর এই সাহিত্যপ্রীতির ব্যাপারে মায়ের ভূমিকা ছিল সর্বাধিক। কেননা আশাপূর্ণার মায়ের ছিল ভীষণ সাহিত্যপ্রীতি। তখনকার দিনে প্রকাশিত সমস্ত গ্রন্থাবলীই তাঁর ছিল এবং প্রতিনিধি-স্থানীয় সমস্ত পত্রিকাও তার বাড়িতে আসত। অতএব আশাপূর্ণা মায়ের দৌলতেই পেয়ে যেতেন অফুরন্ত মনের খােরাক।
তাঁর ঠাকুরমা নিস্তারিনী দেবীর কঠোর অনুশাসনে পরিবারের মেয়েদের পড়াশোনার পথ বন্ধ ছিল। পড়াশোনা করলে মেয়েরা বাচাল হয়ে উঠতে পারে এই আশঙ্কায় তাঁর ঠাকুরমা কোনোদিন নারীশিক্ষাকে প্রশ্রয় দেননি এবং তাঁর দাপটের বিরুদ্ধাচরণ করার ক্ষমতা পরিবারে আর কারো ছিলও না। তবুও এই পরিবেশেও মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে দাদাদের পড়া শুনে শুনে তিনি নানা পাঠ আয়ত্ত করেছিলেন। তাঁর মা সরলাসুন্দরী দেবী ছিলেন একনিষ্ঠ সাহিত্য-পাঠিকা। সেই সূত্রে ‘সাধনা’, ‘প্রবাসী’, ‘ভারতবর্ষ’, ‘সবুজপত্র’, ‘বঙ্গদর্শন’, ‘বসুমতী’, ‘সাহিত্য’, ‘বালক’, ‘শিশুসাথী’, ‘সন্দেশ’ প্রভৃতি ষোলো-সতেরোটি পত্রিকা এবং দৈনিক পত্রিকা ‘হিতবাদী’ প্রভৃতি পত্রিকা পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন আশাপূর্ণা। তাছাড়াও বাড়িতে সেযুগের সমস্ত বিখ্যাত বইয়ের একটি সমৃদ্ধ ভাণ্ডারও ছিল। সাহিত্যের এই আবহেই মাত্র ছয় বছর বয়স থেকেই মায়ের অনুপ্রেরণায় পড়াশোনা করেন আশাপূর্ণা দেবী।
সাহিত্য জগতে তাঁর পদার্পণ ১৯২২ সাল থেকে৷ তেরো কিংবা চোদ্দ বছর বয়সে তিনি ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় ‘বাইরের ডাক’ নামে একটি কবিতা পাঠান৷ এই কবিতা প্রকাশিত হওয়ার পরই তাঁর প্রতিভার বিচ্ছুরণ শুরু হয়৷ এটিই ছিল তাঁর লেখা প্রথম কবিতা। তাঁর লেখা প্রথম গল্প ‘পাশাপাশি’। ‘শিশুসাথী’র পাশাপাশি ‘মৌচাক’, ‘রংমশাল’, ‘খোকাখুকু’ ইত্যাদি সমস্ত পত্রিকায় তিনি লিখতে থাকেন। ‘খোকাখুকু’ পত্রিকায় একবার ‘স্নেহ’ বিষয়ে কবিতা প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয় যেখানে আশাপূর্ণা নিজে ‘স্নেহ’ নামে একটি কবিতা পাঠান। এই কবিতা লেখার জন্য প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। মন্মথ সান্যালের অনুরোধে শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রথম বড়োদের গল্প লেখেন তিনি। কমলা পাবলিশিং থেকে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘প্রেম ও প্রয়োজন’ প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ সালে। ‘কথাসাহিত্য’ পত্রিকার পক্ষ থেকে ধারাবাহিক উপন্যাস লেখার জন্য সুযোগ আসে তাঁর কাছে। এমনকি ‘মিত্র ও ঘোষ’ প্রকাশনা থেকে শ্রী ভানু রায় তাঁকে একটি বড় উপন্যাস লেখার অনুরোধ করেন। এই সব তাগিদেই তিনি লিখে ফেলেন যুগান্তকারী উপন্যাস ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’। ১৯৬৪ সালে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায়। আশাপূর্ণা দেবীর লেখা বিখ্যাত ত্রয়ী উপন্যাসের প্রথম উপন্যাস এটিই। ১৯৬৫তে এই উপন্যাসটি রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হয়। তবে তাঁর প্রথম গ্রন্থ ছিল ‘ছোটঠাকুর্দার কাশীযাত্রা’ যা ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল বৃন্দাবন ধর এণ্ড সন্স পাবলিশিং থেকে। এই বইটি আসলে ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় তাঁর লেখা ছোটদের গল্পসমূহের সংকলন ছিল।
আশাপূর্ণা দেবীর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে ১৭৬টি উপন্যাস। এছাড়াও ছোটগল্প সংকলন, ছোটদের বই সহ মোট তেষট্টিটি গ্রন্থ অনুবাদ করেছিলেন তিনি। কবিতা, রম্য রচনা, স্মৃতিমূলক রচনায় তিনি পারদর্শিতার নিদর্শন রেখেছেন। তাঁর রচনার মধ্য দিয়ে নারী সমাজকে উদ্বুদ্ধ করেগেছেন তিনি। ছোটো থেকে বড় যেকোনো বয়সের মানুষের মনেই তাঁর লেখা ছাপ ফেলেছে। তাঁর লেখা উপন্যাসগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- প্রেম ও প্রয়োজন, মিত্তির বাড়ি, অগ্নিপরীক্ষা, যোগ বিয়োগ, ছাড়পত্র, নবজন্ম, সমুদ্র নীল আকাশের নীল, নদী দিকহারা, মেঘ পাহাড়, তিন ছন্দ, নির্জন পৃথিবী, কল্যাণী, শশীবাবুর সংসার প্রভৃতি। সমাজে মেয়েদের অবরোধ, বন্দীদশা ঘোচাতে তাঁর উদ্বেগ ছিল মাত্রাধিক। তিনি দেখেছেন সমাজে সর্বত্রই নারীর অনধিকারের অস্তিত্ব আর এই অনধিকারের প্রশ্ন থেকেই তিনি লেখেন ট্রিলজি — ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘সুবর্ণলতা’ এবং সবশেষে ‘বকুলকথা’ যা আজও সমাদৃত। তিনটি যুগের চিত্র যেন তিনটি প্রজন্মের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে এই লেখাগুলিতে। আবার সর্বত্রই মেয়েদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেননি তিনি, ঠিক এবং ভুলের তফাতটুকু তুলে ধরেছেন তিনি৷ এক জায়গায় লিখছেন, ‘‘মেয়েরা সবের প্রতিই বড় বেশি আসক্ত। তুচ্ছ বস্তুর প্রতিও আসক্তি। আবার মানুষের প্রতিও এক ধরনের তীব্র আসক্তি। স্বামী-সন্তান এরা একান্তই ‘আমার হোক’। …যত দিন না তারা এই ‘আসক্তি’ ত্যাগ করতে পারবে, ততোদিন মুক্তি আসবে না।’’ তাঁর স্মৃতিকথামূলক রচনাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ‘আমার ছেলেবেলা’, ‘আমার সাহিত্যচিন্তা’, প্রভৃতি।
তাঁর লেখা ছোটগল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘ছিন্নমস্তা’ যেখানে নতুন যুবতী বউয়ের ছেলেকে ক্রমশ দখল করে নেওয়ার রাগে একমাত্র সন্তানের মৃত্যুকামনা করে বসে বিধবা মা জয়াবতী। আবার ‘স্থিরচিত্র’ গল্পটিতে বিমান দুর্ঘটনায় সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া একমাত্র ছেলের মৃত্যুসংবাদে শোকে পাথর মা ছেলের চিঠি পেয়ে যখন জানতে পারেন দুর্ঘটনায় চার হাত পায়ের তিনটিই সে হারিয়েছে, তখন তিনি অপরিচিত অদ্ভুত জীব হিসেবে তাঁকে কল্পনা করেন৷ এভাবেই তাঁর লেখা ‘কসাই’, ‘পদাতিক’, ‘ভয়’, ‘ইজিচেয়ার’ ইত্যাদি ছোটগল্পগুলিতে চেনা সম্পর্কের ওপরে সাঁটা অদৃশ্য মুখোশগুলো তিনি খুলে দিতে চেয়েছেন। ভারতের নানা প্রাদেশিক ভাষায় তাঁর উপন্যাস, ছোটগল্পগুলি অনূদিত হয়েছে। হিন্দির পাশাপাশি ওড়িয়া, মালয়ালম, অসমিয়া, মারাঠি এবং ইংরেজিতেও তাঁর লেখার অনুবাদ হয়েছে। আশাপূর্ণা দেবীর লেখা সব থেকে বেশি অনূদিত উপন্যাস ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ যা প্রথম ১৯৭২ সালে হিন্দিতে অনূদিত হয়। তাঁর ‘শশীবাবুর সংসার’, ‘যোগবিয়োগ’, ‘কল্যাণী’, ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘ছায়াসূর্য’, ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘সুবর্ণলতা’, ‘বকুল কথা’, ‘বলয়গ্রাস’ ইত্যাদি উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। হিন্দিতে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ অবলম্বনে উত্তমকুমার অভিনীত বিখ্যাত ছবি ‘ছোটি সি মুলাকাত’। পরিসংখ্যানের বিচারে ১৭৯টি উপন্যাস, ৩২টি ছোটগল্প সংকলন, ৪৯টি ছোটদের বই লিখেছেন আশাপূর্ণা। এগুলির মধ্যে ১৬টি উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, ৭টি উপন্যাসের নাট্যরূপ মঞ্চে উপস্থাপিত হয়েছে। অনুবাদের মধ্যে ৪৯টি উপন্যাস হিন্দিতে, ১টি অসমিয়ায়, ওড়িয়া ভাষায় ৪টি, মালয়ালম ভাষায় ৫টি এবং ইংরেজিতে ২টি উপন্যাসের অনুবাদ হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
সমালােচক হীরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেছেন, "আমাদের সাহিত্যে ঐ ছন্দটিকে সর্বপ্রথম ধরিয়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ তাঁর গল্পগুচ্ছের গল্পের মধ্যে। ... .. মনের এ্যালকেমি-গুণে চোখে দেখা, কানে শােনা সামান্যটুকু অসামান্য রূপ পরিগ্রহ করেছে। সেখানেই প্রতিভার প্রকাশ। আমরা যাকে পঞ্চেন্দ্রিয় বলি তার প্রত্যেকটিই অশেষজ্ঞানের উৎস। যাঁরা জাত লিখিয়ে, জাত শিল্পী, তাঁদের শিক্ষা একদিকে ইন্দ্রিয়গত, অপরদিকে হুদয়গত।..একথা আশাপূর্ণা দেবীর বেলায় যতখানি সত্য এমন সকলের বেলায় নয়।"
বাঙালী পাঠক সমাজে শরৎচন্দ্র এবং পরবর্তীকালে তারাশংকর এবং বিভূতিভূষণ যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, সাম্প্রতিক কালে আশাপূর্ণা দেবী সেই জনপ্রিয়তার অধিকারিণী। বলা বাহুল্য জনপ্রিয়তাই সার্থকতার একমাত্র প্রমাণ নয়। জনপ্রিয়তার সঙ্গে উৎকর্ষ যুক্ত হলে তবেই সে জনপ্রিয়তা স্থায়িত্ব লাভ করে। আধুনিক ঐতিহাসিকগণ মনে করেন যে, রাজারাজড়ার জয়-পরাজয়, রাজত্বকাল, কর্মকাণ্ডের সন-তারিখের জটিলতায় প্রকৃত ইতিহাসের অনুসন্ধান নিষ্ফল। ঘরে বসে মানুষ যেখানে সুখে-দুঃখে, হাসি-কান্নায় নিত্যদিনের জীবন যাপন করছে সেখানেই মানুষের সত্যিকার ইতিহাস রচিত হচ্ছে। আমরা যাকে কথাসাহিত্য বলি তার উপকরণ সেই যথার্থ জীবনের ইতিহাস থেকেই সংগ্রহ করতে হয়।
আশাপূর্ণার ছােটোগল্পে সমাজই মুখ্য। সামাজিক নানা সংস্কারের অনর্থক অত্যাচারের দিকটি তিনি তুলে ধরেন তার গল্পে। যে নারীরা অত্যাচারিত হয়, তারা সংস্কার-মুক্ত নয়। সমাজশৃঙ্খলিত অবস্থাই তাদের বিনষ্টির কারণ হয়ে ওঠে। যেমন দেখি 'একটি মৃত্যু ও আরেকটি', 'পরাজিত হুদয়', 'কার্বন কপি' প্রভৃতি গল্পে। 'কার্বন কপি', গল্পে নির্জন প্রবাসগৃহে পুরােনাে প্রণয়ীর উপস্থিতিতে রাত্রিবাস অর্ণব হয় আধুনিকা উত্তর-ত্রিশ ডিভাের্সীর পক্ষে। 'পরাজিত হুদয়' গল্পে ধর্ষিতা সন্তানকে কোল নিতে সাহস পান না আধুনিক বাবা-মা। কিংবা 'বঞ্চক' গল্পে জামাইয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়েও মা তরুণী কন্যাকে সংবাদ না দিয়ে তাকে উপহার দেন বিয়েবাড়ির একটি সন্ধ্যা। বাহ্যিক দিক থেকে আধুনিক হয়েও আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজ যে এখনও পুরােনাে সংস্কারের সীমানা পেরােতে পারেনি, তার নানা দৃষ্টান্ত আশাপূর্ণা তুলে ধরেন কখনাে কৌতুকে, কখনাে নির্মমতার সঙ্গে 'সবদিক বজায় রেখে’, ‘বে-আ’, ‘স্বর্গের টিকিট', 'বড় রাস্তা হারিয়ে', 'ঘূর্ণমান পৃথিবী' প্রভৃতি গল্পে। আশাপূর্ণা দেবীর ছোট গল্প সম্পর্কে সাম্প্রতিক কালের কথাসাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন মন্তব্য করেছেন— "বড়াে কথা ছােটো করে বলায় তিনি ওস্তাদ, মনুষ্যজীবনের বড় বড়াে ধাক্কাগুলিকে ছােটোগল্পের ছােটো পরিসরের মধ্যে ধরে ফেলায় তার অনায়াস নৈপুণ্য।"
=={{{{{{{{{{{((({∆∆∆∆∆}}}}}}}}}}}}}}})}}}=====
Monday, 11 July 2022
পত্র পত্রিকা সম্বাদ। নবযুগ। ১৯২০ এর ১২ জুলাই। Vol -793. Dt -12.07.2022. ২৬ আষাঢ়,১৪২৯ . মঙ্গলবার। The blogger in literature e-magazine.
Sunday, 10 July 2022
শুভ প্রয়াণ দিবস। ৪০এর বিশিষ্ট কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। Vol --793. dt -11.07.22. ২৫ শা আষাঢ় ১৪২৯. সোমবার। The bolgger in litareture e-magazine
আশ্চর্য ভাতের গন্ধ রাত্রির আকাশে
কারা যেন আজও ভাত রাঁধে
ভাত বাড়ে, ভাত খায়।
আর, আমরা সারা রাত জেগে থাকি
আশ্চর্য ভাতের গন্ধে
প্রার্থনায়, সারা রাত।
শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় । একজন বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। Dt -26.11.2024. Vol -1059. Tuesday. The blogger post in literary e magazine.
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (২৬ নভেম্বর ১৮৯০ — ২৯ মে ১৯৭৭) একজন বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ. মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্...
-
যোগীন্দ্রনাথ সরকার (২৮ অক্টোবর, ১৮৬৬ - ২৬ জুন, ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ) বা (১২ কার্তিক, ১২৭৩ - ১২ আষাঢ়, ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ) একজন খ্যাতনামা ভারতীয় ...
-
সুখলতা রাও (২৩ অক্টোবর,১৮৮৬- ৯ জুলাই,১৯৬৯) একজন বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজসেবী যিনি ১৮৮৬ সালের ২৩ শে অক্টোবর, কলকাতায় বিখ্যাত শিশুসাহিত্যি...
-
রাজা অজিত সিং বাহাদুর (১৬ অক্টোবর ১৮৬১ - ১৮ জানুয়ারী ১৯০১) বিবেকানন্দ লিখেছেন— "আমি আপনার কাছে আরও একটি অনুরোধ করব— যদি সম্ভব হয় আমা...